কালিয়াচক কলেজের ছাত্র সংসদ ভোটের দিন গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে দুই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাতে সুলতানগঞ্জ থেকে বিশু শেখ ও বৃহস্পতিবার বিকালে রাজনগর এলাকা থেকে রজু শেখ নামে দুজনকে ধরেছে। ধৃতেরা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক বলে পরিচিত। রজু শেখের কাছ থেকে পুলিশ কালিয়াচক কলেজ ভোটের দিন ব্যবহার করা একটি পাইপগান উদ্ধার করেছে। ওই রাতে পুলিশ হানা দেয় কালিয়াচক-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তাবজুল শেখের নিজস্ব ব্যবসার অফিসেও। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করলেও ভিডিও ফুটেজে যাদের গুলি চালাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের কেউ গ্রেফতার হননি।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী তথা রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “তাবজুল সমাজবিরোধী নয়। ও ফলের ব্যবসা করে। ওর অফিসে হানা দিয়ে পুলিশ সঠিক কাজ করেনি। পুলিশ সুপারকে বলেছি, যারা কালিয়াচক কলেজ ভোটে খোলাখুলি গুলি বোমা চালিয়েছে, তাদের গ্রেফতার ধরুন। নিরীহ মানুষকে হেনস্থা করবেন না। আর ধৃতরা আমাদের দলের কেউ নন।” তবে পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলের জেলার বিধায়ক তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, “পুলিশ পুলিশের কাজ করছে। এতে কিছু নেই। আমরা পুলিশের কাজে মাথা ঘামাই না। যারা কলেজ ভোটে গুলি বোমা ছুঁড়ছে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করুক।”
এ দিন ধৃত বিশু শেখকে আদালতে তোলা হলে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিন নামঞ্জুর করে চারদিনের পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আজ, শুক্রবার ধৃত রজু শেখকে আদালতে তোলা হবে। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ধৃতেরা কালিয়াচকে কলেজ ভোটের দিন প্রকাশ্যে গুলি, বোমা ছোঁড়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল। নিরাপরাধ কারও বাড়িতে হামলা হয়নি। কাউকে ধরাও হয়নি। ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজ দেখে অভিযুক্তেদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরার জন্য পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।”
গত সোমবার কালিয়াচক কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। ভোটকে কেন্দ্র করে টিএমসিপি, সিপি ও এসএফআই-র মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সেই সময় দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে বোমা ছুঁড়ে এবং গুলিও চালায়। অভিযোগের তির যায়, তৃণমূলের দিকে। যদিও কলেজের সংসদ টিএমসিপিই দখল করে। |