টুকরো খবর
স্থায়ী সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খানাকুলের গ্রামে
অবশেষে খানাকুলে স্থায়ী সেতু তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল হুগলি জেলা পরিষদ। মাইনানে অরোরা খালের উপরে নড়বড়ে কাঠের সেতু দিয়েই যাতায়াত করতেন গ্রামবাসীরা। সোমবার দুপুরে নাবার্ডের অর্থ সাহায্যে প্রায় দু’কোটি টাকা ব্যয়ে ওই খালের উপরে স্থায়ী কংক্রিটের সেতু নির্মাণের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন খানাকুলের বিধায়ক তৃণমূলের ইকবাল আহমেদ। অনুষ্ঠানে খানাকুলের বিধায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, হুগলি সভাধিপতি শেখ মেহবুব রহমান, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী প্রমুখ। তপনবাবু বলেন, “এই সেতু তৈরি হলে খানাকুলের খুব কাছে এসে যাবে আরামবাগ মহকুমা শহর। ঘুরে মুথাডাঙ্গা দিয়ে যেতে গিয়ে যেখানে ৪০ থেকে ৫০ কিমি পথ অতিক্রম করতে হত, সেখানে ২০-২৫ কিমি দূরত্ব কমে যাবে।” হুগলি জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিরিশ বছর ধরে এই খালের উপরে প্রায় ২০০ মিটার চওড়া একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। গত পাঁচ বছর ধরে কাঠের সেতটিুও চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে উঠেছিল। জেলা পরিষদ থেকে বছর কয়েক ধরে নাবার্ডের কাছে সেতু নির্মাণের তহবিল চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছিল। জেলা পরিষদের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উত্‌পলকুমার হাজরা বলেন, “আমাদের ২০১০ সালের পাঠানো প্রস্তাবের ভিত্তিতে সেতু নির্মাণের অনুমোদন মিলেছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।”

গোয়ালে আগুন
এক সিপিএম কর্মীর খড়ের গাদা, রান্নাঘর এবং গোয়ালে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ভোরে গোঘাটের শ্যাওড়া গ্রামের ঘটনা। শঙ্কর দলুই নামে ওই সিপিএম কর্মীর গোয়ালের দু’টি মোষ পুড়ে যায়। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার আগে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী উল্লাস দলুই ও তার সঙ্গীরা ওই কাণ্ড ঘটায়। কয়েক দিন ধরেই তাঁকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিচ্ছিল উল্লাস। এর আগেও উল্লাসের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছিলেন শঙ্কর। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত পলাতক। দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উড়িয়ে দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাল।

মাহেশ উচ্চ বিদ্যালয়ে বাত্‌সরিক উত্‌সব
নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হল শ্রীরামপুরের মাহেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের বাত্‌সরিক উত্‌সব। ২৪-২৫ জানুয়ারি এই অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাই রামকৃষ্ণ তপোবন আশ্রমের সন্ন্যাসী চিত্‌প্রকাশানন্দ-সহ বিশিষ্টজনেরা। দু’দিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরাও যোগদান করেন। পড়ুয়ারা ‘পণ্ডিত বিদায়’ এবং ‘একটি গাছ লক্ষ প্রাণ’ নামে দু’টি নাটক মঞ্চস্থ করে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ক্যুইজ এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতা ছিল। ছিল বিজ্ঞান প্রদর্শনী। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম এবং দ্বিতীয় দু’টি পুরস্কারই জিতে নেয় শ্রীরামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মেয়েরা। তৃতীয় হয় শ্রীরামপুর ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন। ক্যুইজে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি বিভাগে জয়ী কোন্নগর উচ্চ বিদ্যালয়। দ্বিতীয় দিন অতিথি হিসেবে ছিলেন বিদ্যালয়ের চার প্রাক্তন শিক্ষক। দেশের স্বাধীনতার লাভের প্রায় সিকি শতাব্দী আগে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলের ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক সোমনাথ দত্তশর্মা। অন্তিম পর্বে ছিল শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের অভিনীত নাটক ‘সত্যি ভুতের গপ্পো’।

বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী
দু’দিন ধরে পালিত হল গোঘাটের ভগবতী বালিকা বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উত্‌সব। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কামারপুকুর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী লোকোত্তরানন্দ। বিদ্যাসাগরের মাতা ভগবতীদেবীর মূর্তির আবক্ষ মূর্তি উন্মোচনও করেন তিনি। মূর্তিটির জন্য ব্যক্তিগত ভাবে ৯০ হাজার টাকা দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তৈয়েবুন্নেশা বেগম। তিনি বলেন, “সুবর্ণজয়ন্তী উত্‌সবে বিদ্যালয়কে এটাই আমার উপহার।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য-সহ এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদেরা। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে ছিল বিদ্যালয়ের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বিশিষ্ট অতিথিদের ভাষণ, ম্যাজিক শো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। মনোজ মিত্রের নাটক ‘সত্যি ভূতের গপ্পো’ পরিবেশন করে দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায় স্কুলের ছাত্রীরা।

গ্রামীণ মেলা
সাতদিন ব্যাপী গ্রামীণ মেলা হয়ে গেল শ্যামপুর ফুটবল মাছে। নিউ তরুণ সঙ্ঘের উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল, শ্যামপুর-১ ব্লকের বিডিও মৃণালকান্তি বাগচি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি করবী ধূল-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। মেলায় প্রয়াত মান্না দে স্মরণে মূল মঞ্চ এবং সুচিত্রা সেন স্মরণে মেলায় তোরণ তৈরি করা হয়েছিল। মেলার ২৭টি স্টলে ছিল কৃষি, কুটির শিল্প, হাতে আঁকা ছবি-সহ বহু প্রদর্শনী। এই উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বলেছিল বলে জানান উদ্যোক্তারা।

হরিপালে ক্রীড়া
সম্প্রতি হরিপালের জেজুড় ইউনিয়ন ক্লাবের দ্বাদশ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। জেজুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ওই অনুষ্ঠান হয়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার ষষ্ঠী দুলে, হরিপাল থানার ওসি বঙ্কিম বিশ্বাস প্রমুখ। প্রতিযোগিতা শুরু হয় এক মাইল রোড রেসের মধ্য দিয়ে। ১০০ মিটার দৌড়, ৪০০ মিটার দৌড়, হাইজাম্প, মিউজিক্যাল চেয়ার-সহ নানা প্রতিযোগিতা হয়। বিভিন্ন বয়সের প্রায় ২৫০ জন প্রতিযোগী এতে যোগদান করেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। গ্রামের হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মাঠে হাজির হয়েছিলেন।

ক্রীড়া সংস্থার অনুষ্ঠান
শ্রীরামপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার ৬৫ তম বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান আগামী ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল থেকে প্রতিযোগিতা চলবে শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামে। বিভিন্ন ক্লাবের কয়েকশো প্রতিযোগী যোগদান করবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

আবক্ষ মূর্তি
আমতা পুটখালি মণিকাঞ্চন সঙ্ঘের উদ্যোগে নেতাজির আবক্ষ মূর্তি স্থাপিত হল সঙ্ঘ প্রাঙ্গণে। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্মল মাজি-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। এই উপলক্ষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.