কোথাও বাস না পেয়ে দুর্ভোগ, কোথাও চড়া ভাড়া দিয়ে অন্য গাড়ির খোঁজ, আবার কোথাও ধাক্কাধাক্কি করে ট্রেনে ওঠা- বৃহস্পতিবার তৃণমূলের ব্রিগেড সভার দিনে এমনই নানা ছবি দেখা গেল জেলা জুড়ে।
বর্ধমান সদর, কাটোয়া, কালনা থেকে অধিকাংশ বাস তুলে নেওয়ায় দিনভর দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। বর্ধমানের রাস্তাঘাটে বেসরকারি বাস প্রায় ছিল না বললেই চলে। যে দু-একটি বাস চলেছে তাতেও প্রচন্ড ভিড় ছিল। অনেকে অবশ্য বাস মিলবে না আন্দাজ করে ট্রেনে যাতায়াত করেন। ফলে ট্রেনেও ভালই ভিড় হয়।
|
কালনা বাসস্ট্যান্ড চত্বরও এ দিন ছিল সুনসান। বৈঁচি, বর্ধমান, পাণ্ডুয়া, মেমারি এবং নবদ্বীপ রুটে এমনিতেই ভরসা বেসরকারি বাস। তার মধ্যে বেশিরভাগই তুলে নেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। তিন-তার ঘণ্টা অপেক্ষার পরে বাস পেয়েছেন অনেকে। ভরসা ছিল মোটরভ্যান। যাত্রীদের অভিযোগ, এ দিন তিন থেকে চার গুণ বেশি ভাড়া নিয়েছে মোটরভ্যানগুলি। মেমারির শঙ্করপুর এলাকার বাসিন্দা দীপঙ্কর চৌধুরি বলেন, “সাত সকালে কালনায় কাজে এসেছিলাম। কাজ মেটার পর বাসস্ট্যান্ডে এসে শুনি, কালনা মেমারি ভায়া বাঘনাপাড়া রুটে বাস চলছে মাত্র তিনটি। ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষা করার পর শেষ পর্যন্ত বাস পেলাম।” লোকাল ট্রেনগুলিতেও এ দিন সকাল থেকেই ভিড় ছিল। বেশির ভাগ যাত্রীদের গন্তব্যস্থল ছিল ব্রিগেড। কালনা জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১১টার পর থেকে বেশ কিছু ট্রেনে প্রচুর ভিড় ছিল। বেশির ভাগ যাত্রীই ব্রিগেডে যাওয়ার জন্য ট্রেনে ওঠেন। |