সিভিক পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে এক যুবকের থেকে ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সন্দীপ রাহা-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূলের নেতা ও কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। বুধবার দুপুরে হেমতাবাদ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ জানান চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাটিয়াডোব এলাকার সাহেদ হোসেন। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দীপের বাড়ি হেমতাবাদে ঠাকুরবাড়ি এলাকায়। বাকিরা হলেন তৃণমূলের চৈনগর অঞ্চল কমিটির নেতা-কর্মী। তাদের বাড়ি মাটিয়াডোব এলাকাতেই। গত নভেম্বর মাসে হেমতাবাদ ব্লকের নানা এলাকার প্রায় ১৪০০ জন যুবক সিভিক পুলিশে নিয়োগের পরীক্ষা দেন। কয়েকদিন আগে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। ৩২৭ জন সফল হন। সাহেদবাবুর দাবি, “আমিও তৃণমূল কর্মী। গত ৫ ডিসেম্বর হেমতাবাদের সমাসপুর হাইস্কুলে তৃণমূলের একটি সভায় দলের তরফে সিভিক পুলিশের ফর্ম বিলি হয়। সেখানেই সন্দীপবাবু সহ অভিযুক্তদের হাতে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছি। আমাকে চাকরি দেওয়া হবে বলা হয়। ফল প্রকাশের পর দেখি আমার চাকরি হয়নি। অভিযুক্তরা টাকা দিতেও অস্বীকার করেন।”
অভিযুক্ত সন্দীপ অবশ্য বলেন, “চাকরি দেওয়ার নাম করে আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। আমরা সকলে চক্রান্তের শিকার হয়েছি। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” রায়গঞ্জের ডিএসপি নারায়ণ মজুমদার বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হচ্ছে।” |