একই সঙ্গে কোচবিহারে ‘মাদার আন্ড চাইল্ড হাব’ এবং ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট’ গড়ার তোড়জোড় শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। কোচবিহার জেলা সদর এমজেএন হাসপাতালের হেরিটেজ ভবনের একাংশ সংস্কার করে ওই পরিকাঠামো গড়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের জন্য ১ কোটি টাকা আর্থিক বরাদ্দ স্বাস্থ্য দফতরের হাতে এসেছে। ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের’ জন্য ১৫ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রথম দফায় মার্চের মধ্যে ওই কাজ শুরুর জন্য ৮ কোটি টাকা চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সব ঠিকঠাক থাকলে এ বছরেই দুটি বিভাগ চালু করা যাবে। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “দুটি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জেলার বাইরে ‘রেফার’ করার প্রবণতা কমবে।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, জেলা হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসার জন্য উন্নত পরিকাঠামো না থাকায় জেলার প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের অনেককেই নার্সিংহোমে যেতে হচ্ছে। যাদের আর্থিক সঙ্গতি নেই তাদের ভরসা শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। হৃদরোগ, সাপে কাটা, দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম রোগীদের ভেন্টিলেশন-সহ নানা পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পাশাপাশি ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব’ করে প্রসূতি, মা ও শিশুর জন্য হাসপাতালের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বিভাগগুলিকেও একছাতার নীচে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কোচবিহারের হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “হাসপাতালে ওই দুটি বিভাগ তৈরির কাজ শুরু হতে চলেছে। চলতি বছরেই প্রকল্প দুটির কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে বলে আশা করছি।’’ সুপার জয়দেব বর্মন জানিয়েছেন, আবহাওয়ার জন্য শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট ঘরগুলিতে সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে সতর্ক থাকতে হয়। তার উপর মা ও সদ্যোজাতদের পৃথক ঘরে রাখতে হয়। নানা সমস্যা হয়। ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব’ তৈরি হলে আরও উন্নত পরিষেবার সুবিধার পাশাপাশি ওই সমস্যাও মিটবে। |