প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্রর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থাকায় উত্তর দিনাজপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করা ৮ জন পরীক্ষার্থীকে নিয়োগ পত্র দেওয়ার কাজ আপাতত স্থগিত রাখল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রের খবর, গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা (টেট) ও মৌখিক পরীক্ষায় সফল ২৬৯ জন পরীক্ষার্থীকে সংসদ দফতরে কাউন্সিলিং-এ ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে সফল পরীক্ষার্থীদের হাতে হাতে নিয়োগপত্র দেন। কিন্তু বাকি ওই ৮ পরীক্ষার্থীর মেধা তালিকায় নাম থাকলেও তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র খতিয়ে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের নিয়োগপত্র দেয়নি সংসদ।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক সুবল সাহু জানান, ওই ৮ পরীক্ষার্থীর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক উত্তীর্ণের সংশাপত্র যথেষ্ট সন্দেহজনক। সেইসব সংশাপত্রগুলি ভিন রাজ্যের নানা পর্ষদ, কাউন্সিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমরা ইন্টারনেটে ওই পর্ষদ, কাউন্সিল ও বিশ্ববিদ্যালয়েরই অস্তিত্ব পাইনি। তাই তাঁদের শংসাপত্রের সত্যতা যাচাই না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ আটকে দেওয়া হয়েছে। সংসদের চেয়ারম্যান শেখর রায় বলেছেন, “শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র জাল হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই জেলা বিদ্যালয় দফতর ওই ৮ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসার সত্যতা যাচাই করে সবুজ সঙ্কেত দিলেই তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।” প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, ওই ৮ জনের মধ্যে ২ জন মহিলা ওরয়েছেন। তাঁদের বাড়ি কালিয়াগঞ্জ, করণদিঘি, চোপড়া, ইসলামপুর এবং গোয়ালপোখর এলাকায়। |