অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম-এ উৎসাহ দিতে পর্যটন দফতর এবং একটি বেরসকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে গাড়ি এবং বাইক র্যালি শুরু হল। বুধবার শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার উপনগরীর থেকে র্যালি যাত্রা শুরু করে। পতাকা নাড়িয়ে র্যালির সূচনা করেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন। র্যালিতে ২৭ টি ছোট গাড়ি এবং ৮ টি বাইক অংশ নিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে এ দিন বেলা আাড়াইটে নাগাদ ডুয়ার্সের মূর্তির উদ্দেশ্যে রওনা হয় তারা। এ দিন রাতে মূর্তি ট্যুরিস্ট লজে থাকবেন অংশগ্রহণকারীরা। রাতে সেখানে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার মূর্তি থেকে গরুবাথান, সামসিং হয়ে গ্যাংটকে রওনা হবে। ওই যাত্রা পথ ১৭০ কিলোমিটার। সেখান থেকে ৩১ জানুয়ারি রুমটেক হয়ে দার্জিলিঙে যাবে র্যালি। ১ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়িতে ফিরবে গাড়ি এবং বাইক র্যালিটি। এর আগে বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে ওই র্যালি হলেও এ বার পর্যটন দফতর আয়োজনে যৌথভাবে অংশ নেয়। |
র্যালিতে কলকাতার বাসিন্দা ৩০ বছরের যুবক বিশাল দাস বাইক নিয়ে অংশ নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন আগেও তিনি বরাবর ওই র্যালিতে অংশ নিতেন। এবারও এসেছেন। পেশায় ব্যবসায়ী দেবরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গৌরাঙ্গ পাল শিলিগুড়ির বাসিন্দা। ছোট গাড়ি নিয়ে তাঁরাও অংশ নিয়েছেন। পর্যটন দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা সুনীল অগ্রবাল বলেন, “পর্যটনে বিভিন্ন নতুন জায়গা তুলে ধরতে গাড়ির র্যালিটি ওই সমস্ত পথে যাবে। অংশগ্রহণকারীরা যে সমস্ত জায়গায় থাকবেন সেখানে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমে উৎসাহ দিতে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।” শিলিগুড়িতে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পর্যটন মন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
পর্যটন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু থেকে মহম্মদ মুস্তাফা, চেন্নাই থেকে ভি শেখর, নাগাল্যান্ড থেকে দিলীপ লামের মতো উৎসাহীরা অনেকেই অংশ নিয়েছেন। সম্প্রতি মূর্তি পর্যটন আবাস রাজ্য সরকারের তরফে চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া পেডং, ঋষিখোলার মতো অনেক প্রত্যন্ত এলাকা পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে ওই সমস্ত প্রত্যন্ত এলাকা দিয়ে গাড়ির র্যালি যাচ্ছে। ওই সমস্ত এলাকায় পর্যটকরা ‘হোম স্টে’ করার সুযোগ পাবেন। সে কারণে জায়গাগুলির সঙ্গে পরিচিতি করাতে কয়েকটি এলাকায় র্যালি দাঁড়াবে। সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার র্যালি যাবে। তার মধ্যে সাড়ে ৪০০ কিলোমিটার পথই প্রত্যন্ত এলাকায়। |