রাতের অন্ধকারে নলকূপ চুরির অভিযোগ উঠল বাসন্তীর আমঝাড়া গ্রামে। তার জেরে পানীয় জলের সমস্যায় পড়ছেন গ্রামের প্রায় ২০০টি পরিবার। তাঁরা জানান, দীর্ঘদিন আগে পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে বসানো ওই নলকূপটিই পানীয় জলের জন্য এক মাত্র ভরসা তাঁদের। ব্লকের অন্যত্র পাইপ লাইনের সাহায্যে জল সরবরাহ করা হলেও, তাঁদের এলাকায় ওই জল আসে না। ফলে প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে পানীয় জল আনতে হচ্ছে তাঁদের। গ্রামের শুকলাল মণ্ডল, সাবিত্রী মণ্ডল, হিরণ্ময় তরফদার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছি। প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি।”
অন্যদিকে, বাসন্তীর গদখালিতে আবার পাইপে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। ওখানে কোনও গভীর নলকূপ নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সম্প্রতি বাসন্তী-গদখালি রাস্তা সারাইয়ের সময় কেটে দেওয়া হয় পাইপলাইন। ফলে বেশ কিছু দিন ধরে এলাকার পানীয় জলের সরবরাহ বন্ধ। অনেক দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে তাঁদের। অধিকাংশ পর্যটকই যেহেতু সুন্দরবন ঘুরতে এলে গদখালি হয়ে যান। পানীয় জলের সঙ্কটে তাঁরাও সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা কল্যাণ ভুঁইয়া, মৃন্ময় দাস বলেন, “গদখালিতে পানীয় জলের সরবরাহ না পেয়ে সমস্যায় আছি। প্রশাসনকে জানিয়েছি কিন্তু এখনও কোনও সাড়া পাইনি। পুকুরের জলে যাবতীয় কাজ সারতে হচ্ছে। পুকুরের জল ব্যবহারের কারণে জলবাহিত রোগেরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।” বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহকারী সভাপতি মাজেদ মোল্লা বলেন, “দ্রুত ওই এলাকার পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” মহকুমা শাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, “বিষয়টি জানতাম না। বিডিওকে বলেছি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে।” |