|
|
|
|
দল ছাড়তে চেয়ে চিঠি সিপিএম নেতা স্বদেশের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
দল ছাড়ছেন রামনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক স্বদেশরঞ্জন নায়ক। দলের সদস্যপদ ছাড়ার জন্য চলতি মাসেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। জেলা নেতৃত্ব এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকার করলেও খোদ স্বদেশবাবু খবরের সত্যতা মেনে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রামনগর জোনাল কমিটির কিছু নেতার কাজকর্মে বীতশ্রদ্ধ হয়ে উচ্চমহলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তারপরেও সুরাহা না হওয়ায় জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষে তিনি দল ছাড়ার কথা জানিয়ে রামনগর জোনাল ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটিতে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
রামনগর জোনাল কমিটির সম্পাদক আশিস প্রামাণিক অবশ্য বলেন, “স্বদেশবাবু দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ থাকার ফলে দলের কাজ করতে পারছেন নাএমন কথাই চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন। সদস্যপদ ছাড়ার কথা জানি না। আমাকে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক কানু সাহুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি “ব্যায়ামচর্চায় ব্যস্ত রয়েছি, তাই কোনও কথা বলতে পারছি না’ বলে মোবাইল বন্ধ করে দেন।
পেশায় ব্যবসায়ী ও শঙ্করপুর ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক স্বদেশরঞ্জন নায়ক ২০০৬ সালে সিপিএমে যোগ দেওয়ার পর রামনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরিকে পরাজিত করেন তিনি। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে অবশ্য অখিল গিরির কাছে পরাজিত হন স্বদেশবাবু। পঞ্চায়েত ভোটের সময় দলের জোনাল কমিটির সঙ্গে স্বদেশবাবুর সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে ওঠে। তালগাছাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে গণ্ডগোলের সময় স্বদেশবাবুর কয়েকজন অনুগামী ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গ্রেফতার হন। গ্রেফতারি এড়াতে স্বদেশবাবু ও তাঁর কিছু অনুগামী দীর্ঘ দিন আত্মগোপন করে ছিলেন। পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেতে হয় তাঁদের। এই সময় দল তাঁদের কোনও সাহায্যই করেনি বলে অভিযোগ। মতবিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে স্বদেশবাবু রামনগরে দলের জোনাল কার্যালয় থাকা সত্ত্বেও আলাদা একটি জায়গায় বসতেন অনুগামীদের নিয়ে। সিপিএমের একাংশের বক্তব্য স্বদেশবাবু দীর্ঘ দিন ধরেই কাঁথির অধিকারী বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। তৃণমূলে যোগ দিতে চান বলেই দল ছাড়তে চাইছেন তিনি। যদিও স্বদেশবাবু নিজে বলেন, “বতর্মানে তৃণমূল বা অন্য কোন দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা বা বাসনা নেই।” |
|
|
|
|
|