স্পিনারদের উইকেট দিও না। তা হলে বাকি বোলাররাও ক্লান্ত, বিভ্রান্ত হয়ে পড়বে। চলতি সিরিজে এ ভাবেই ভারতীয় বোলারদের নাস্তানাবুদ করার নীল নকশা তৈরি করেছিল নিউজিল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ইতিমধ্যেই ৩-০ জিতে নেওয়ার পর যে স্ট্র্যাটেজি ফাঁস করলেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান রস টেলর।
হ্যামিল্টনে চতুর্থ ওয়ান ডে-তে ২৭৮ তাড়া করতে নেমে ১১ বল বাকি থাকতেই যে নিউজিল্যান্ড জিতে গিয়েছিল, তার অন্যতম নায়ক ছিলেন টেলর। শুধু শেষ ম্যাচে নয়, গোটা সিরিজেই মাঝের ওভারগুলোয় বিপক্ষ বোলিংকে আক্রমণ করে রান তুলে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড। কখনও টেলর, কখনও কেন উইলিয়ামসন, ভারতীয় বোলিংকে প্রায় উড়িয়ে দিয়ে স্বচ্ছন্দে টিমকে বড় স্কোরের দিকে নিয়ে গিয়েছেন। সিরিজে এখন পর্যন্ত এক বারই পরে ব্যাট করেছে নিউজিল্যান্ড, হ্যামিল্টনে গত মঙ্গলবার। সেখানেও ম্যাচ বের করে নিয়ে গিয়েছে টেলর-উইলিয়ামসন জুটি। যা নিয়ে টেলরের মন্তব্য, “ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে গতকাল খেলাটা একটু কঠিন ছিল। রবীন্দ্র জাডেজার প্রথম দু’এক ওভারে তো ব্যাটে-বলেই করতে পারিনি। ও খুব ভাল বল করেছে। অন্য দিন হলে দু’একটা উইকেট তুলে কিন্তু আমাদের আটকে দিতে পারত জাডেজা।”
তা সত্ত্বেও কী ভাবে এত স্বচ্ছন্দে রান করে যাচ্ছেন কিউয়ি ব্যাটসম্যান? টেলরের ব্যাখ্যা, “ভারতে আমি বেশ কিছু বছর খেলেছি। ওখানকার পিচের মতো এখানে বল অত টার্ন করে না। তাই অনেকেই ফ্রন্টফুটে ঝাঁপিয়ে পড়ে খেলে। কিন্তু এখান আমাদের স্ট্র্যাটেজি হল, যতটা সম্ভব ব্যাকফুটে খেলা আর গ্যাপ দেখে খেলা।” সঙ্গে সংযোজন, “কেন খুব ভাল স্পিন খেলতে পারে। আমরা তাই ঠিক করেছিলাম যে যদি ওদের স্পিনারদের আটকে দিতে পারি, তা হলে পঞ্চম আর ষষ্ঠ বোলারের উপর চাপ তৈরি করা যাবে। আর সেটাই করে গিয়েছি।”
ব্যক্তিগত ভাবে টেলরের এখন লক্ষ্য হল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করে যাওয়া। “এখন বুঝেছি আমার শক্তি আর দুর্বলতা কী কী,” বলে টেলর যোগ করেছেন, “ক্যাপ্টেন বলেছে যে আমার কাজ হল মাঝের ওভারগুলোয় ব্যাট করা, যাতে শেষের পনেরো ওভারে পাওয়ার হিটাররা বড় শট খেলার সুযোগ পায়।” |