টি-টোয়েন্টিতেও জয় |
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্ন-তাস
নিজস্ব প্রতিবেদন
২৯ জানুয়ারি |
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টেস্ট আর ওয়ান ডে সিরিজে সম্মান পুনরুদ্ধার হয়ে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সামনে এখন ‘অপারেশন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ’। যার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গত সপ্তাহেই শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ ডারেন লেম্যান। শেন ওয়ার্নকে স্পিনারদের পরামর্শদাতা হিসেবে এনে। মার্চে বাংলাদেশে যে লড়াইয়ে লেম্যানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন কিংবদন্তি অজি স্পিনার।
ওয়ার্নের উপমহাদেশে দীর্ঘদিন খেলার পাশাপাশি আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসকে চার মরসুম নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাই লেম্যানের তুরুপের তাস। অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান টি-টোয়েন্টি টিমের দু’জন ছাড়া প্রথম একাদশের ন’জনেরই আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ১৩ রানে হারিয়ে ছন্দে থাকার ইঙ্গিতও স্পষ্ট জর্জ বেইলিদের। এই ধারাবাহিকতাটাই ধরে রাখতে ওয়ার্নকে ব্যবহার করতে চান লেম্যান। অজি কোচের এই পরিকল্পনায় খাপ না খেয়ে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বলি হতে হল সহকারি কোচ স্টিভ রিক্সনকে। তাঁকে ছাঁটাই করে লেম্যান টিমে বিশেষজ্ঞ সাপোর্ট স্টাফ আনার কথা বলেছেন এ দিনই। যার অন্যতম প্রাক্তন ভারতীয় ফিল্ডিং কোচ মাইক ইয়ংকে একই দায়িত্বে নিয়ে আসা। |
|
অজি কোচের সবচেয়ে বড় ভরসা যদিও টিমের দুরন্ত ফর্ম। বুধবার যে ফর্মের আগুনে পুড়ল ইংল্যান্ড। শেষ ওভারে রবি বোপারা গোটা তিনেক ছয় মেরেও ইংল্যান্ডকে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জেতাতে পারলেন না। অস্ট্রেলিয়া জিতল ১৩ রানে। টেস্টের পর চারটে ওয়ান ডে ধরলে সিরিজে দশ নম্বর হার অ্যালিস্টার কুকদের। ক্যামেরন হোয়াইটের (৭৫) দুরন্ত ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া ২১৩-৪ তুলেছিল প্রথমে ব্যাট করে। জবাবে নাথান কোল্টার নাইলের দাপটে (৪-৩০) ইংল্যান্ড ২০০-৯ থামতে বাধ্য হয়। বোপারা অপরাজিত থাকেন ৬৫ রানে। তিন ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ১-০।
ওয়ার্ন অস্ট্রেলিয়ার এই ফর্মই উপমহাদেশে কতটা ধারাল করে তুলতে পারেন এখন সেটাই দেখার। |
|