বাংলাদেশের ক্লাব এল না, বাতিল ওডাফাদের ম্যাচ
শিল্ড থেকে মোহনবাগান, চলছে ডামাডোলের সিরিজ
মোহনবাগান পরিবারে অশান্তি থামছে না।
ফেড কাপের ব্যর্থতার পর ওকোলি ওডাফাকে নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই আবার কোচের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ালেন আর এক বিদেশিইউসা কাতসুমি। বুধবার যার জেরে ক্ষুব্ধ করিম বেঞ্চারিফা মাঝপথেই অনুশীলন বন্ধ করে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। পরে দু’জনেই ব্যাপারটা মিটে গেছে বলে দাবি করলেন বটে, তাতে অবশ্য বাগানের গুমোট ভাবটা কাটল না। রয়েই গেল।
মাঝপথে মোহন-কোচ অনুশীলন থামিয়ে চলে গেলেও তাতে কোনও ক্ষতি হল না কাতসুমি-ইচেদের। আজ আই এফ এ শিল্ডে যে বিদেশি দলের সঙ্গে খেলা ছিল, বাগানের বাংলাদেশের সেই শেখ জামাল ধানমন্ডি লিমিটেড এসে পৌঁছতেই পারল না। ভিসা সমস্যায় তাদের সাত বিদেশি ফুটবলার আটকে যাওয়ায়। ফলে ফের সূচি নিয়ে তীব্র ডামাডোল। ইউনাইটেডের পর মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচও স্থগিত করে দিতে বাধ্য হল আইএফএ। বারাসতে মহমেডান-সিকিম ইউনাইটেড ম্যাচের সময়েরও পরিবর্তন হল। সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার ম্যাচ এগিয়ে আনা হল দুপুর সওয়া তিনটেয়।
মোহনবাগানে ঝামেলার সূত্রপাত আধঘণ্টা অনুশীলন চলার পর। কাতসুমি-ইচেদের দু’দলে ভাগ করিয়ে ম্যাচ খেলাচ্ছিলেন করিম। কাতসুমিদের দল ‘থ্রো ইন’ পায়। মাঠে উপস্থিত মোহনবাগানের এক ক্লাব কর্মী ভুল করে কাতসুমিদের বিপক্ষ দলকে বল দিয়ে দেন। এই সামান্য কারণে ওই কর্মীকে গালাগালি করতে থাকেন কাতসুমি। যা দেখে করিম চুপ করতে বলেন জাপানি মিডিওকে। নিজের টিমের কর্মীকে অকারণে গালাগাল দিতে বারণও করেন। কিন্তু কোচের নিদের্শ না মেনে হাত-পা ছুড়ে কিছু বলতে দেখা যায় কাতসুমিকে। এর পর করিম কাতসুমিকে ডেকে ধমক দেন। এবং শাস্তিস্বরূপ পাঁচ মিনিটের জন্য মাঠের বাইরে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু এতে রাজি হননি কাতসুমি। তখনই রাগ করে করিম মাঝপথেঅনুশীলন বন্ধ করে দিয়ে হাঁটা দেন ড্রেসিংরুমের দিকে। আইবর হাত ধরে কোচকে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করলেও তোয়াক্কা করেননি মোহন-কোচ। বাগানে কয়েক বছর কোচিং করাচ্ছেন করিম, কিন্তু কখনও এ ভাবে মাঠ ছেড়ে যাননি তিনি।
ড্রেসিংরুমে ফিরে ফুটবলারদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ সভা করেন মোহন-কোচ। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার আগে কাতসুমি বলে যান, “সামান্য ঘটনা ঘটেছিল। কোচের সঙ্গে কথা হয়ে গেছে। আর কোনও সমস্যা নেই।” সাংবাদিক সম্মেলনে করিম অবশ্য ‘কিছুই হয়নি’ বোঝানোর জন্যই সম্ভবত গান করতে করতে ঢোকেন। বলে দেন, “মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা ফুটবলের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি ফুটবলারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে মিটিং করেছি। কাতসুমির ব্যাপারটা বড় কিছু নয়। এ রকম হতেই পারে। সব কিছু আমার আয়ত্তেই রয়েছে।” মাঠে অবশ্য এই ঝামেলার সময় দেখা যায়নি কোনও কর্তাকেই।
এ দিকে আই এফ এ কর্তারা সারা দিন দৌড়ঝাঁপ করেও বাংলাদেশের দলকে আনতে পারেননি। বুধবার রাতেই আসার কথা ছিল শেখ জামাল ধানমন্ডির। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় শুধু নয়, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রও দূতাবাসকে অনুরোধ করেন শিল্ডে খেলতে আসা দলকে ভিসা দেওয়ার জন্য। তাতে সামান্য বরফ গলে। জামালের যে সব ফুটবলার বাংলাদেশি, তাঁদের ভিসা দেওয়া হলেও আটকে দেওয়া হয় ওই দলে খেলা নাইজিরিয়া-ঘানার ফুটবলারদের। ম্যাচ যাতে হয় সে জন্য জামালকে অনুরোধ করা হয়েছিল বিদেশি ছাড়াই চলে আসতে। বাংলাদেশের দলটি রাজি হয়নি। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “ওরা জানিয়েছে বৃহস্পতিবার সমস্যা মিটে যেতে পারে। যদি মেটে ভাল, না হলে অন্য কোনও দলকে আনতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যদি ছাড়পত্র না দেয়, তা হলে আমরা কী করব?”

পুরনো খবর:
মহমেডানের তিন বিদেশির ‘শাস্তি’
পেমেন্ট নিয়ে ঝামেলার জের। আই এফ এ শিল্ডের প্রথম ম্যাচে মহমেডানের প্রথম একাদশে কোনও বিদেশিকেই খেলাবেন না কোচ সঞ্জয় সেন। জোসিমার-লুসিয়ানোকে রিজার্ভ বেঞ্চে রাখা হলেও, পেন ওরজিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শাস্তি দিতেই এই সিদ্ধান্ত। আজ বৃহস্পতিবার বারাসতে সিকিম ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে খেলবে মহমেডান। সাদা-কালো কোচ বললেন, “পেমেন্ট নিয়ে গণ্ডগোল থাকতেই পারে। কিন্তু তা বলে অনুশীলনে আসবে না কেন? সে জন্যই তিন বিদেশিকেই প্রথম টিমে রাখছি না। ওদের সেটা জনিয়েও দিয়েছি।” জোসিমার-লুসিয়ানো বুধবার অনুশীলন করলেও, পেন মাঠে নামেননি। পেনের সঙ্গে এ দিন রাতে কথা বলেন মহমেডান কর্তারা। তাদের দাবি, সমস্যা মিটে গিয়েছে।

বৃহস্পতিবারে আই এফ এ শিল্ড

মহমেডান: সিকিম ইউনাইটেড (বারাসত ৩-১৫)।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.