|
|
|
|
ডেবরায় প্রকল্পের হাল ফেরাতে পরিদর্শনে জোর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পশ্চিমবঙ্গ সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একমাত্র প্রকল্পটি রয়েছে ডেবরায়। যে প্রকল্পের মাধ্যমে ধানের বীজ তৈরি হয়, ফলগাছের চারা তৈরি হয়, চারা মাছ উৎপাদন হয়। কিন্তু, পরিকাঠামোগত সমস্যা বিশেষ করে কর্মীর অভাবে এই প্রকল্পে নজরদারি নেই বললেই চলে। ধুঁকতে থাকা প্রকল্পটির হাল ফেরানোর লক্ষ্যে বুধবার জেলা পরিষদে বৈঠক হল। ছিলেন জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, ডেবরা প্রকল্পের অফিসার ইনচার্জ অশোক ঘোষ প্রমুখ। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকল্প পরিদর্শনে যাবেন কৃষি কর্মাধ্যক্ষ। এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে তিনি সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখবেন। বৈঠক শেষে কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বলেন, “এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে একমাত্র ডেবরাতেই পশ্চিমবঙ্গ সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের অধীন এই প্রকল্পটি রয়েছে। পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। ফলে, কিছু অসুবিধেও হচ্ছে। এদিন আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই করা হবে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেবরা প্রকল্পটি গড়ে ওঠে ১৯৭৪ সালে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ধানের বীজ, ফলগাছের চারা, চারা মাছ উৎপাদন করে পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষদের বিতরণ করা হয়। উদ্দেশ্য একটাই, পিছিয়ে পড়া এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়ন। সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে রয়েছে। অন্য দিকে, ডেবরা প্রকল্পের মাধ্যমে ‘ব্যাকওয়ার্ড ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট স্কিম’-এ জেলার ২৯টি ব্লকের মধ্যে ৪টি ব্লক এলাকায় কাজ হয় দাঁতন-১, মেদিনীপুর সদর, শালবনি এবং কেশিয়াড়ি। প্রতি বছরই ওই সব ব্লকের উপভোক্তাদের মধ্যে ধানের বীজ, ফলের চারা প্রভৃতি বিতরণ করা হয়। এ বারও হবে। ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছে। এ বার ওই চারটি ব্লকের ২৯টি মৌজার ২ হাজার ৯৫৪টি পরিবারকে ধানের বীজ বিতরণ করা হবে। এক-একটি পরিবার ১০ কেজি করে বীজ পাবে। অন্য দিকে, ২০টি মৌজার ১ হাজার ৮৫৭টি পরিবারকে ফলগাছের চারা বিতরণ করা হবে। এক-একটি পরিবার ৭টি করে চারা পাবে।
সাধারণত, যে সব এলাকার উপভোক্তাদের এই সুবিধে দেওয়া হয়, সেই সব এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কথা প্রকল্পের আধিকারিক-কর্মীদের। যেমন, যে পরিবারকে ফলগাছের চারা দেওয়া হল সেই পরিবার চারাগুলো নিয়ে কী করল, বাগানে পুঁতল কি না, এ সবই খতিয়ে দেখার কথা। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, বৈঠকে গত বছর কোন কোন এলাকার মানুষ প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের নামের তালিকা চাওয়া হয়। কৃষি কর্মাধ্যক্ষ জানতে চান, এলাকায় এলাকায় নিয়মিত পরিদর্শন হয় কি না। ন্যূনতম কতদিন অন্তর পরিদর্শন হয়। উত্তরে ডেবরা প্রকল্পের উপস্থিত আধিকারিকেরা জানান, কর্মীর অভাবে নিয়মিত পরিদর্শন করা সম্ভব হয় না। মাঝে-মধ্যে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হয়। একাধিক আধিকারিককে দু’টি পদের দায়িত্ব সামলাতে হয়। ফলে, নিয়মিত পরিদর্শন সম্ভব হয় না। এক সময়ে প্রকল্পে আধিকারিক-কর্মীর সংখ্যা সব মিলিয়ে ৭০ জনের কাছাকাছি ছিল। এখন কমতে কমতে তা ২০ জনের কাছাকাছি চলে এসেছে। কৃষি কর্মাধ্যক্ষ অবশ্য জানিয়ে দেন, এলাকায় এলাকায় নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে। শুধু কর্মী সংখ্যা কম থাকার অজুহাত দিলে চলবে না। পরিদর্শন না-হলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে কি না, তা বোঝা যাবে কী করে। তাঁর কথায়, “পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে, এটা ঠিক। তবে, তার মধ্যেই কাজ করতে হবে।”
মাদুর শিল্প নিয়ে সম্মেলন। মাদুর ব্যবসার সমস্যা নিয়ে সম্মেলন করল মাদুর ব্যবসায়ী সমিতি। বুধবার সবংয়ের দশগ্রাম বাজারে ১১তম ওই সম্মেলন হয়। সবং এলাকায় প্রায় ৫ হাজার মাদুর ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন সমস্যায় রয়েছেন। সেই সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করতেই এই সম্মেলন। ছিলেন সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, জেলা পরিষদের সদস্য বিকাশ ভুঁইয়া, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা প্রমুখ। |
|
|
|
|
|