গরুর হাত থেকে ধান বাঁচাতে জমি পাহারা দিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এক প্রৌঢ়। সেই সময় এক দাঁতাল তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছড় মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় আকলু সিংহ ঘাটোয়াল নামে ওই প্রৌঢ়কে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে কোটশিলা থানার সুলুংলহর গ্রামে। বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকার ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া জাবর পাহাড়ের জঙ্গলে বেশ কিছুদিন ধরেই দশ-বারোটি হাতির একটি দল অবস্থান করছে। প্রায় দিনই রাতে নীচের গ্রামগুলিতে নেমে এসে হামলা চালাচ্ছে হাতিরা। বুধবার রাতেও তিনটি হাতি একই ভাবে মারামু, তাহেরবেড়া, বড়রোলা, কড়চে, গুড়িডি প্রভৃতি গ্রামে ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়ির দেওয়ালও ভেঙে দিয়েছে। ওই প্রৌঢ়ের কথায়, “ধান বাঁচাতে কাঠ-পাতা দিয়ে বানানো অস্থায়ী ঘরে ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি একটু দূরে একটি দাঁতাল দাঁড়িয়ে রয়েছে। চেষ্টা করেও পালাতে পারিনি। আমার কোমর ভেঙে গিয়েছে। বুকে ভর দিয়ে বাড়ির দরজা অবধি পৌঁছই।” কোটশিলার রেঞ্জ অফিসার ললিতমোহন মাহাতো জানান, ওই প্রৌঢ়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাতির ওই দলটিকে তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। অন্য দিকে, স্কুল চত্বরে ঢুকে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের চাল খেয়ে তছনছ করল হাতির দল। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে ঝালদা থানার হেঁসলা মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে। ঝালাদার রেঞ্জার সমীর বসু বলেন, “কত চাল নষ্ট হয়েছে তা স্থানীয় প্রশাসনকে জানাব। ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে।” |