তৃণমূলের ব্রিগেডের সভা বৃহস্পতিবার। জেলায় জেলায় তা নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই কর্মী-সমর্থকদের। আর নেতাদের ভাবাচ্ছে কী ভাবে বাসে-ট্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁদের সকলকে। দলের কিছু নেতার অতি সক্রিয়তার জেরে বুধবার থেকেই বাস তুলে নেওয়া শুরু হয় হুগলির কিছু জায়গায়। কোথাও আবার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা মাঝ রাস্তায় বাসের দখল নেওয়ায় টিকিট কেটে উঠেও এ দিন যাত্রীরা নেমে যেতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ।
কোনও রাজনৈতিক দলের সভা থাকলেই রুটের বাস তুলে নেওয়াই দস্তুর। তাতে যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি কোনও রাজনৈতিক দলই তোয়াক্কা করে না। এ দিন আরামবাগের কাবলে, মুথাডাঙ্গা, খানাকুলের ঘোষপুর, গোঘাটের বদনগঞ্জ-সহ বেশ কিছু জায়গায় রাস্তা থেকেই জোর করে রুটের বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা প্রতিবাদ করতে গেলে কোথাও কোথাও তাঁদের কপালে জুটেছে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের চড়চাপড়। একই চিত্র আরামবাগ ছাড়া জেলার অন্য তিনটি মহকুমাতেও। জাঙ্গিপাড়া, তারকেশ্বর, ধনেখালি, শ্রীরামপুর, কালনা, পাণ্ডুয়া, বলাগড় সর্বত্রই। বাসের এই উধাও হয়ে যাওয়ার ছায়া পড়েছে সরকারি অফিসগুলিতেও।
পরিস্থিতি শুধু যাত্রী দুর্ভোগেই থেমে থাকেনি, গাড়ি সংগ্রহের অভিযানে নেমে তৃণমূলের সমর্থকদেরও নিজেদের মধ্যেই বিবাদে জড়িয়ে পড়ার খবর মিলেছে। তৃণমূল কর্মীরা এ দিন বাঁকুড়ার কোতলপুর রুটের চারটি গাড়ি আটক করে রাস্তা থেকে তুলে নেন। এর পাল্টা কোতলপুরের তৃণমূল কর্মীরা আরামবাগের ৬টি গাড়ি তুলে নেন। দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাধে। একই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান জেলার সঙ্গেও।
দলের নেতা-কর্মীরা যে জেলার কোনও কোনও অংশে যে অনেকটাই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন, সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল তৃণমূলের জেলা শীর্ষনেতৃত্ব।
দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “দলনেত্রী কখনওই চান না, সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে কিছু করা হোক। বিভিন্ন তরফে আমরা অভিযোগ পেয়েছি।” তিনি জানান, প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। |