ভাঙন বিধ্বস্ত কংগ্রেস কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বেশ কিছু টোটকা দিলেন দলের বর্ষীয়ান বিধায়ক মানস ভুঁইয়া।
সদ্য দলে ফেরা সোমেন মিত্রের উপস্থিতিতে বুধবার দমদম ক্যান্টনমেন্টের মাঠে উত্তর চব্বিশ পরগনার কংগ্রেস কর্মিসভায় মানসবাবু বলেন, “ভাঙন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। মনে রাখবেন নেতা নয় কর্মীরাই কংগ্রেসের শক্তি। যারা কংগ্রেসের একনিষ্ট কর্মী তাদের কোনও ভয় নেই। যারা কংগ্রেসে আসা যাওয়া করেন তারাই আক্রান্ত হন।” তিনি কংগ্রেস নেতাদের সর্বক্ষণ কর্মীদের পাশে থাকার পরামর্শ দেন। হবে। কর্মীদের বিপদে, সময়ে-অসময়ে অকুস্থলে নেতাদের যাওয়া উচিত বলে তিনি জানান।
এর পরই মানসবাবু জেলা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তাপস মজুমদারকে নির্দেশ দেন, আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই প্রথমে নেতাদের বাড়িতে কংগ্রেসের পতাকা ও কর্মীদের নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় নেতাদের ছবি লাগাতে হবে। তিনি বলেন, “তৃণমূল পতাকা ছিড়ে দিলে ফের লাগাতে হবে। যাতে কোনও ভাবেই মনে না হয় যে কংগ্রেস এলাকায় দুর্বল দল।” তাপসবাবু পরে বলেন, “দলের কর্মীদের মনোবল অটুট রাখতে এই পদক্ষেপই আমাদের করতেই হবে।”
কয়েক দিন আগে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি দেবী ঘোষাল সহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটে লোকসভা ভোটে দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এ দিনের কর্মিসভায় সোমেনবাবু ছাড়া প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, সুখবিলাস বর্মা, কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সোমেনবাবু বলেন, “কংগ্রেস হল পাথরকুচির পাতার মতো। দুমড়ে মুচড়ে ফেলে দিলেও ফের জন্মাবে।” সভায় তৃণমূলকে বিঁধে তিনি দাবি করেন, সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত করতে হবে। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁরা জোট চান না বলে এ দিন ফের প্রদীপবাবু বলেন, “এবার ৪২ টি আসনেই এককভাবে লড়তে চাই।” সোমেনবাবু বলেন, “এ বারও যদি কংগ্রেস ও তৃণমূলের আঁতাঁত হয় তা হলে দক্ষিণবঙ্গ থেকে কংগ্রেস মুছে যাবে।” |