কিছুদিন আগে নিরাপত্তাহীন এটিমে টাকা তোলার ব্যাপারে সচেতন করেছিল পুলিশ। যে সব ব্যাঙ্কের এটিএমে নিরাপত্তারক্ষী নেই, সেগুলি নিরাপদ নয় বলে পোস্টার লাগিয়েছিল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। বুধবার বাগুইআটির একটি ব্যাঙ্কের ভিতরে একটি কেপমারির ঘটনা প্রমাণ করল, শুধু এটিএম নয় সিসিটিভি-নিরাপত্তাকর্মী থাকা সত্ত্বেও ব্যাঙ্কের ভিতর কতটা নিরাপত্তাহীন।
বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটির একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে। পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয় সরকার নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা কেপমারি করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, টাকা জমা দেওয়ার কাউন্টারে দাঁড়িয়েছিলেন সঞ্জয়বাবু। তাঁর সামনে দু’দিকে দু’জন ছিলেন। সঞ্জয়বাবু জানান, ১০০ টাকার ৫টি বান্ডিল জমা দেন তিনি। হাতে রাখা ৩টি ৫০০ টাকার ব্যান্ডিল জমার আগে স্লিপ লিখছিলেন। বাঁ পাশ থেকে এক যুবক তাঁকে বলেন, কয়েকটা একশো টাকার নোট পড়ে গিয়েছে। সঞ্জয়বাবু নিচু হয়ে দেখতে যান। উঠে দেখেন কাউন্টারে রাখা পাঁচশো টাকার তিনটে বান্ডিল উধাও।
রাজীব ঘোষ নামে বাগুইআটির এক ব্যবসায়ী তার কর্মচারী সঞ্জয়বাবুকে ওই টাকা জমা দিতে পাঠিয়েছিলেন। খবর পেয়ে ব্যাঙ্কে আসেন রাজীববাবু। আসে পুলিশও। প্রশ্ন ওঠে ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। রাজীববাবুর প্রশ্ন, “ব্যাঙ্কে সিসিটিভি ও নিরাপত্তাকর্মী থাকা সত্ত্বেও এ রকম কী করে ঘটে?” অভিযোগ, একই কায়দায় কিছু দিন আগেও এই ব্যাঙ্কে কেপমারি হয়েছিল। কাউন্টারের মুখে লাইন ভেঙে অনেক সময়েই দু’তিন জনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভিতে ধরাও পড়েছে সঞ্জয়বাবুর দু’পাশে দুই যুবক দাঁড়িয়েছিলেন। ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক বলেন, “দুই দুষ্কৃতী যখন টাকা নিয়ে চম্পট দিল, তখন কোনও রক্ষীর নজরে এল না কেন? যিনি টাকা জমা নিচ্ছিলেন বা পিছনে লাইনে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের চোখেও কিছু পড়ল না কেন?” এই ব্যপারে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে চাননি। বিধাননগর কমিশনারেটের এডিসি সন্তোষ নিম্বলকর বলেন, “সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের পরিচয় জানার চেষ্টা হচ্ছে।” |