ভোট মাত্র একটি আসনে। তাতেও অশান্তি এড়ানো গেল না রানিগঞ্জ গার্লস কলেজে।
গতকাল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জেলার মধ্যে একমাত্র রানিগঞ্জ গার্লস কলেজেই জয়ী হয় এসএফআই। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার সেখানে ২৯টি আসনের মধ্যে ৬টিতে কোনও ছাত্র সংগঠনই প্রার্থী দিতে পারেনি। ৬টি আসনে টিএমসিপি এবং ৫টিতে এসএফআই আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। মঙ্গলবার বাকি ১২টি আসনের মধ্যে এসএফআই ৮টি এবং টিএমসিপি ৩টিতে জেতে। একটি আসনে ‘টাই’ হয়। বুধবার ‘টাই’ হওয়া আসনে ভোট হওয়া নিয়েই গণ্ডগোল হয়। এ দিন ওই আসনে জয়লাভ করেছে টিএমসিপি। যদিও টিএমসিপির এই জয়ের পরেও ছাত্র সংসদ ১৩-১০ ব্যবধানে এসএফআইয়ের দখলেই থাকল। |
গাড়ি থেকে টেনে নামানোর চেষ্টা। |
এসএফআইয়ের অভিযোগ, টিএমসিপি সমর্থকেরা স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে এসএফআই কর্মীদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেয়। এসএফআইয়ের বর্ধমান জেলা সভাপতি সুব্রত সিদ্ধান্তের অভিযোগ, “এ দিন সকালে তাঁদের প্রার্থী কোয়েল মন্ডল তাঁর পোলিং এজেন্ট নিয়ে গাড়িতে চেপে কলেজে আসেন। সেই সময় কলেজ গেটে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে এক দল টিএমসিপি সর্মথক তাঁদের জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। আমাদের প্রার্থী দৌড়ে কলেজে ঢুকে যান। তাঁদের গাড়ির চালক কোনও রকমে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যান।” |
তারিখ আলাদা, গন্তব্য এক। ডাক দু’দলের। দুর্গাপুরে বিকাশ মশানের তোলা ছবি। |
তাঁর আশঙ্কা, “সংখ্যার বিচারে এগিয়ে থাকলেও এই কলেজে আমাদের ছাত্র সংসদ গঠন আটকাতে চেষ্টা করছে টিএমসিপি।” অভিযোগ অস্বীকার করে টিএমসিপির বর্ধমান জেলা সভাপতি অশোক রুদ্র “ইতিমধ্যেই এক জন নির্বাচিত এসএফআই প্রার্থী টিএমসিপিতে যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়াও ওদের চার জন জয়ী প্রার্থী আমাদের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছেন, তাঁদের ভুল বুঝিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছে এসএফআই। তাঁদেরও টিএমসিপিতে যোগ দেওয়ার কথা।” |