শ্লীলতাহানির মামলায় অভিযুক্ত উত্তর দিনাজপুরের আইনি সচেতনতা সংস্থা কোর্ট অব কনসালটেন্সির মুখ্য উপদেষ্টা আইনজীবী মোফাক্কেরুল ইসলামের নামে মামলা তুলে নিতে আর্জি জানালেন এক তরুণী। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ বটুন এলাকার বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণী বালুরঘাট জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের প্যারা লিগাল ভলেন্টারি পদে কর্মরত। রাজ্য আইনি পরিষেবা ও বিভিন্ন জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় কোর্ট অব কনসালটেন্সি দীর্ঘদিন ধরে উত্তরবঙ্গের নানা জেলায় আইনি পরামর্শ দেয়। মোফাক্কেরুলের পরিচালনায় ওই কাজ হয়। বিভিন্ন দুর্গাপুজো মন্ডপে আইনি সচেতনতামূলক ফ্লেক্স ঠিকমত লাগানো হয়েছে কি না তা পরিদর্শন করতে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর মোফাক্কেরুলবাবু একটি ছোটগাড়ি নিয়ে ইটাহার থেকে বালুরঘাট যান। বালুরঘাটে একটি নো-এন্ট্রি রাস্তায় তিনি গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়লে পুলিশ তাঁকে আটক করে। পুলিশের কাজে বাঁধা ও মারধর করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পর দিন বালুরঘাট জেলা আদালতের নির্দেশে মোফাক্কেরুলেুর এক মাসের জেল হেফাজত হয়। তিনি জেল হেফাজতে থাকাকালীন ১৮ অক্টোবর ওই তরুণী বালুরঘাট থানায় গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। দুটি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ৫৮ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর হাইকোর্টের নির্দেশে মোফাক্কেরুলু জামিন পান। মঙ্গলবার তরুণী বলেন, “লোকজনের কথায় প্ররোচিত হয়ে কিছু না বুঝেই ওঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলাম। ভুল বুঝতে পেরে পুলিশ সুপারের কাছে মামলা তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।” মোফাক্কেরুলব বলেন, “সম্মানহানির জন্য নানা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছি। ওই তরুণীর মামলা তোলার আবেদনে প্রাথমিক ভাবে সেটাই প্রমাণিত হল।”
|