রেলের জমি থেকে বাজার উচ্ছেদ করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হল উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষকে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ির অম্বিকানগরে। প্রতিরোধের মুখে ফিরে যেতে হয় রেলের আধিকারিকদের। এদিন উচ্ছেদকে ঘিরে বাজার এলাকায় উত্তেজনাও তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি অভিষেক গুপ্ত বলেন, “রেলের পক্ষ থেকে আগে থেকে কিছু জানানো ছিল না। তবে এদিন ঘটনাস্থলে উত্তেজনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সমস্যা মিটে গিয়েছে।”
রেলের উচ্ছেদের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। ফুলবাড়ি-১ এর তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান তপন সিংহ বলেন, “এলাকায় নিম্নবিত্ত মানুষের বাস। এখানে দোকান বানিয়ে গত ১০ বছর ধরে এরা ব্যবসা করছে। রেল কর্তৃপক্ষ এভাবে তাঁদের উঠিয়ে দিতে পারে না।” যদিও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের নিউ জলপাইগুড়ির এরিয়া ম্যানেজার পার্থ সারথি শীল বলেন, “আন্ডারপাস তৈরির জন্য ওই জমিটা প্রয়োজন। তাই দেড় মাস আগেই জবর দখলকারীদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তাঁরা নিজে থেকে না সরায় এ দিন অভিযান চালাতে হয়। বাধা পাওয়ায় অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে, নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছি।”
রেলের নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান দাবি করেন, “একটা নোটিশ দিলেই হবে না। পরপর কয়েকটি নোটিশ দিতে হত। তারপরেও যদি কেউ কথা না শোনে তাহলে রেল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। আমরাও উন্নয়ন চাই। কিন্তু তার জন্য আমাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করতে হবে।”
অম্বিকানগর বাজার এলাকায় প্রায় দেড়শোটি দোকান রয়েছে। মাছ, সবজি, হোটেল, খাবারের দোকান থেকে সেলুন, সাইকেল গ্যারেজ সবই রয়েছে। এদিন মাছ বাজারের মোট ৮ টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকি দোকানগুলি উচ্ছেদ করার আগেই প্রতিরোধ শুরু হয়। উচ্ছেদ হওয়া এক ব্যবসায়ী বাদল দাস বলেন, “আমরা নোটিশের কথা কিছুই জানি না। দোকান চলে গেলে খাব কি?” |