লোকসভা ভোটের পরে কেন্দ্রের সরকার গড়ার ক্ষেত্রে নির্ণায়কের ভূমিকা নিতে চাইছে তৃণমূল। কাল, বৃহস্পতিবার ব্রিগেড সমাবেশ থেকে দলের কর্মী-সমর্থকদের লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের বার্তা দেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই বার্তা দেওয়ার মঞ্চ থেকে লোকসভা ভোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হবে কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবিপি আনন্দে মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় স্পষ্টই বলেন, “ব্রিগেডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক বক্তব্য জানাবেন। কিন্তু প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের কোনও স্তরেই কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।” |
সমাবেশের প্রস্তুতি দেখতে এ দিনই সন্ধ্যায় মমতা নিজে ব্রিগেডে যান। সেখানে তিনি প্রায় ১৫ মিনিট ছিলেন। উপস্থিত তৃণমূল নেতাদের সমাবেশের নানা খুঁটিনাটি নিয়ে নির্দেশও দেন দলনেত্রী। তাঁর আগে সমাবেশের প্রস্তুতি দেখতে সেখানে গিয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ব্রিগেডের সমাবেশের আগে এ দিনের সাক্ষাৎকারে মুকুলবাবু দাবি করেন, এ বার লোকসভা ভোটের পর মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল জাতীয় রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করবে। তাঁর ব্যাখ্যা, “কমিউনিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে রাজ্যের বাইরে সময় দিতে পারেননি। সিপিএম শাসনের অবসানের পর যখনই মণিপুর, অসম, অরুণাচল প্রদেশে পা রেখেছি, আমরা সাফল্য পেয়েছি। আর বাংলার মানুষও চাইছেন, স্বাধীনতার পর থেকে যা কখনও হয়নি, তা এ বার হোক। অর্থাৎ, বাংলা দিল্লিতে জায়গা পাক।”
লোকসভা ভোটের লড়াইতে মুকুলবাবুর প্রত্যয়ের জায়গা মূলত তিনটি। এক, রাজ্যে ক্ষমতা বদলের পর পঞ্চায়েত ভোট থেকে শুরু করে পুরভোট সব ক’টিতেই তৃণমূলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। লোকসভাতেও তৃণমূলের ভোটের হার এবং আসন দুইই বাড়বে। দুই, রাজ্য সরকারের গত তিন বছরের ‘সাফল্য’ এবং পাহাড় ও জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরা ভোট বৃদ্ধির সহায়ক হবে। তিন, মমতার ভাবমূর্তি রাজ্যবাসীর পছন্দের। এ রাজ্যে কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক এবং নরেন্দ্র মোদী হাওয়াও নেই বলে মুকুলবাবুর দাবি। |