টুকরো খবর
বধূ খুনে কারাদণ্ড
স্ত্রীকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল স্বামীর। শাশুড়ি ও ননদের ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। সোমবার বাঁকুড়া ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক সুলগ্না ঘোষ দস্তিদার এই রায় দিয়েছেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অতিরিক্ত পণের দাবিতে শালতোড়ার গোট গ্রামের বধূ মৌমিতা মণ্ডলকে নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ ওঠে স্বামী উজ্বল মণ্ডল, শাশুড়ি সরমা ও ননদ টুম্পার বিরুদ্ধে। ২০০৭ সালে ১১ এপ্রিল শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ওই বধূ। চার দিন পরে অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল এলাকার পাথর খাদানের জলে ভেসে ওঠে তাঁর দেহ। বধূর শাড়িতে পাথর বাঁধা ছিল। দেহ উদ্ধারের দিনই মৃতার মামা সুদেব মণ্ডল শালতোড়া থানায় অভিযুক্ত তিন জনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। ওই বছরের ২২ মে ঘটনার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। বিচার চলাকালীন অভিযুক্তরা জামিনে মুক্ত ছিলেন। দীপঙ্করবাবু বলেন, “অভিযুক্তদের মধ্যে মৃতার স্বামীকে যাবজ্জীবন, শাশুড়ি ও ননদকে ১০ বছর কারাবাস এবং বধূ নির্যাতনের জন্য তিন জনকেই ২ হাজার টাকা করে জরিমানা হয়।”

বার্ধক্য ভাতা চালুর দাবি
বিপিএল তালিকাভূক্ত হলেও রঘুনাথপুরের বামড়রা ও মতিরা বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা-সহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না। তাই অবিলম্বে সরকারি অনুদান দেওয়ার দাবিতে সোমবার রঘুনাথপুর ২ ব্লক অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দিলেন ওই দুই গ্রামের শতাধিক বৃদ্ধ, বৃদ্ধা। নেতৃত্বে ছিল তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবু আলম, দিলীপ বাউরিরা বলেন, “পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে হলেও এই ভাতা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় ব্লক কর্তৃপক্ষ।” বিডিও উৎপল ঘোষ বলেন, “বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্লকের নির্দিষ্ট সংখ্যক কোটা থাকে। ফলে অনেকেই পাওয়ার যোগ্য হলেও সকলকেই ভাতা দেওয়া সম্ভব হয় না।” আগে ভাতা পেলেও বর্তমানে তা না পাওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে বিডিও-র মন্তব্য, “যাঁরা ভাতা পেতেন, তাঁরা সকলেই বেঁচে রয়েছেন কি না দেখার জন্য পঞ্চায়েত স্তরে শুনানি করা হয়েছিল। অনেকেই সেই শুনানিতে আসেননি বলে তাঁদের নাম বাদ পড়ে যেতে পারে। আমরা ফের সংশোধিত তালিকা তৈরী করে বাদ পড়ে যাওয়া প্রাপকদের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।”

মারধরে অভিযুক্ত শিক্ষিকা
অফিসে ঢুকে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে সোমবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বান্দোয়ানে ১ চক্রের পরিদর্শক সুশোভন মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, “আশপাড়া প্রাথমিক স্কুলে দীর্ঘদিন দুপুরের রান্না বন্ধ। শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত স্কুলে আসেন না। এই অভিযোগের তদন্ত করে দেখতে আমি এক শিক্ষাবন্ধুকে পাঠাই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রেণুকা মাহাতোকে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি ২৪ জানুয়ারি তাঁর এক সঙ্গী নিমাই চক্রবর্তীকে নিয়ে অফিসে আসেন। অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলতেই তাঁরা আমার উপরে চড়াও হন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ২৭ জানুয়ারি অভিযোগ জানিয়েছি।” জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) বৃন্দাবন দাস বলেন, “সব শুনে থানায় অভিযোগ জানাতে বলেছি।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেণুকাদেবী। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় দুর্নীতির তদন্ত করুক সিবিআই। এই দাবিতে মঙ্গলবার এসএফআই, ডিওয়াইএফআই-সহ মোট ৮টি বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠন বাঁকুড়া শহরে মিছিল করে। পরে তারা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করে। এসএফআই-এর বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক ধর্মেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “আমরা চাই সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করুক এবং পুরনো প্যানেল বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হোক।”

স্কুলের শতবর্ষ
বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের গড়গড়্যা সুভাষ হাইস্কুল শতবর্ষে পা দিল। শনিবার শতবর্ষ উদ্যাপনের সূচনা করেন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ওই দিন স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রাক্তনীরা শোভাযাত্রা করে এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। শিক্ষক ফাল্গুনী সিংহবাবু জানান, জঙ্গলমহলের এই স্কুলটি স্থাপিত হয়েছিল ১৯১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি। বছরভর নানা অনুষ্ঠান হবে।

স্মারকলিপি
ভিন রাজ্য থেকে যন্ত্রচালিত তাঁতের শাড়ি, গামছা রাজ্যে ঢোকা বন্ধ করতে হবে বলে দাবি তুলল হস্ত চালিত তাঁত ও তাঁত শিল্প বাঁচাও কমিটি। মঙ্গলবার এই দাবি-সহ ১১ দফা দাবিতে জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দেয় ওই সংগঠন। সংগঠনের অন্যতম সদস্য সঞ্জয় দত্ত বলেন, “ভিন রাজ্যের যন্ত্রচালিত তাঁতের শাড়ি, গামছা, লুঙ্গির জেরে আমাদের রাজ্যের হস্তচালিত তাঁত শিল্পের ক্ষতি হচ্ছে। সমস্যায় পড়ছেন তন্তুবায় পরিবারগুলি।” জেলা প্রশাসনের তরফে দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.