সরকারি টাকায় মানবাজারের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। এগুলি ব্যবহার না হওয়ার ফলে নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। ব্যবহার না হওয়ায় বেশিরভাগ বাড়ি পোড়ো বাড়িতে পরিণত হয়েছে। তাই ওই বাড়িগুলিকে সরকারি কাজে ব্যবহারের দাবি উঠেছে।
শহর থেকে দু’কিমি দূরে পায়রাচালি অভিমুখী রাস্তায় একটি ভবন রয়েছে। এক দশক আগে জনশিক্ষা প্রসার ভবন নামে ওই বাড়িটি নির্মিত হয়েছিল। মানবাজার থেকে মাঝিহিড়া যাওয়ার রাস্তায় একটি দোতলা ভবন রয়েছে। মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতির টাকায় নির্মিত বিরামডুংরি বিশ্রামাগার নামে ওই বাড়িটিও এক দশক আগে গড়া। কামতা-জাঙ্গিদিরি অঞ্চলে ডাকাকেন্দু গ্রামে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র নামে একটি বাড়ি আট বছর ধরে পড়ে আছে। মানবাজার ব্লক এলাকায় এ রকম আরও কয়েকটি বাড়ি বাম আমলে সরকারি অর্থে নির্মাণ করা হয়েছিল। |
মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি প্রভাত মাহাতোর অভিযোগ, “বাম আমলে কীভাবে সরকারি অর্থ অপচয় করা হয়েছে, এই বাড়িগুলি তার প্রমাণ। আমরা বিডিওকে জানিয়েছি, বাড়িগুলি ফেলে না রেখে যথাযোগ্য ব্যবহার করা হোক।” ব্লক অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০১-০২ আর্থিক বছরে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে মানবাজার পায়রাচালি রাস্তায় জনশিক্ষা প্রসার ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ব্লক জনশিক্ষা প্রসার আধিকারিক কয়েক মাস ওই ভবনে কাজ করেছিলেন। চার কক্ষ বিশিষ্ট ভবনটি বর্তমানে ঝোপে ঢেকে গিয়েছে। স্থানীয় একটি পরিবার ওই ভবন ব্যবহার করেন।
মানবাজার থেকে মাঝিহিড়া যাওয়ার পথে বিরামডুংরি বিশ্রামাগারটি নির্মাণ হয়েছে ২০০৯-১০ আর্থিক বছরে। বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় নির্মিত ভবনে আজ অবধি কেউ বিশ্রাম নিতে আসেননি। কামতা-জাঙ্গিদিরি পঞ্চায়েত এলাকার ডাকাকেন্দু গ্রামে সরকারি অর্থে নির্মিত এই বাড়িটির গায়ে ডাকাকেন্দু উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র লেখা থাকলেও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না থাকায় বাড়িটি আজ অবধি ব্যবহার হয়নি। প্রভাতবাবুর অভিযোগ, “বাম আমলে ব্যাপক সরকারি অর্থ নয় ছয় করা হয়েছে। পরিকল্পনা ছাড়াই বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে কেবলমাত্র ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেও এ ধরনের নির্মাণ হয়েছে।” সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য প্রদীপ চৌধুরী বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতিতে রেজুলেশন নিয়ে বাড়িগুলি নির্মাণ করা হয়েছিল। কেন ব্যবহার হয়নি জানি না। এগুলি সরকারি কাজে লাগানো যেতে পারে।” মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব বলেন, “এগুলি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে। কোন বাড়ি কোন দফতরের কাজে ব্যবহার করা যায়, পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়েছে।” |