|
|
|
|
তৃণমূলের দ্বন্দ্বে ভাঙল সেতু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে এ বার সরকারি টাকায় নির্মিত সেতু ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠল।
মঙ্গলবার বিকেলে কেশিয়াড়ি ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে মিছিল ও সভার ডাক দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক শশাঙ্ক পাত্র, কোর কমিটির সদস্য জহরলাল পাল, ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগদীশ দাস। ওই কর্মসূচিতে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কর্মীরা যাতে যোগ দিতে না পারেন সে জন্য কেশিয়াড়ি-কুলবনি সড়কের বেনাডিহাতে কুসমি খালের ওপর সেতু ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর ফলে কুলবনি রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
কেশিয়াড়িতে ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগদীশ দাস ও জেলা তৃণমূল নেতা বিষ্ণুপদ মাইতির অনুগামীদের মধ্যে বিরোধের কথা কারও অজানা নয়। সম্প্রতি একাধিক বার দুই গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তার জেরেই লোহার কাঠামোয় তৈরি পূর্ত দফতরের সেতুটির উপরের অংশে কাঠের পাটাতনগুলি বিষ্ণুপদ গোষ্ঠীর লোকজন ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগদীশ দাস বলেন, “সিপিএম থেকে আমাদের দলে আসা কিছু লোক ওই সেতু ভেঙে আমাদের কর্মসূচি বানচাল করতে চেয়েছিল। এই ঘটনায় বিষ্ণুপদবাবুর প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে।” বিষ্ণুপদবাবুও কার্যত ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “জগদীশবাবুর ওই মিছিলে যোগ দিতে কিছু সিপিএমের লোক বাসে করে যাচ্ছিল। রঙ্গিদাসের কাছে আমাদের কর্মী বীরেন মহাপাত্রের মোটর সাইকেল ভেঙে দেয় ওরা। আমাদের ক্ষুব্ধ কর্মীরা তারপরই জরাজীর্ণ সেতুর কাঠের পাটাতন খুলে দিয়েছে। তবে আমি তাদের সতর্ক করেছি।” এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বিডিও অসীমকুমার নিয়োগী। তিনি বলেন, “প্রতিবছর হাজার হাজার টাকা খরচ করে ওই সেতু সংস্কার করা হয়। তা এ ভাবে ভেঙে দেওয়া ঠিক নয়। সেতুটি বিপজ্জনক হয়ে যাওয়ায় আমি বাস চলাচল বন্ধ রাখতে বলেছি।”
|
|
|
|
|
|