|
|
|
|
সংস্কার থমকে, কাঠের সাঁকোতে ঝুঁকির পারাপার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
কংক্রিটের নতুন সেতু তৈরির কাজ চলছে। বিকল্প কাঠের সেতুর অবস্থাও জরাজীর্ণ। ফলে ঝুঁকি নিয়ে সবংয়ের মোহাড় এলাকায় ওই কাঠের সেতু দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, সেচ দফতর একাধিকবার সেতুটি মেরামতের কাজ করেছে। তবে কয়েকদিন পরেই সেতুর বেহাল রূপ আবার ফিরে এসেছে। এমনকী দিন কুড়ি ধরে নতুন করে হওয়া কংক্রিটের সেতুর কাজও থমকে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন সেতুর কাজ দ্রুত করার দাবি জোরালো হচ্ছে।
|
|
সবংয়ের মোহাড়ে বেহাল সেতু। —নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মোহার বাজার সংলগ্ন কেলেঘাইয়ের কালীমণ্ডপ খালের ওপর পাকা সেতুটির অবস্থা বেহাল। তাই সেচ দফতর নতুন করে সেতু গড়ার জন্য উদ্যোগী হয়। পুরনো সেতু ভেঙে বছর খানেক আগে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন কংক্রিটের সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সেই সময়ই সাময়িক যাতায়াতের বিকল্প পথ তৈরির জন্য তৈরি হয় কাঠের অস্থায়ী সেতু। মাস তিনেক আগে থেকে সেই সেতুর অবস্থাও ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। সেতুর একের পর এক কাঠের পাটাতন ভেঙে পড়ায় সেটি বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। মাস খানেক আগে সেতুটির সংস্কারও হয়। কিন্তু দিন কুড়ি আগে ফের সেতুর পাটা ভেঙে যায়। সম্প্রতি কাঠের সেতুটি মেরামতির কাজ ফের শুরু হয়েছে। স্থানীয় শ্বেতচকের সেতুটির অবস্থাও খারাপ। তাই এতদিন ওই সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ ছিল। তবে ইদানীং ওই কাঠের সেতুটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই শ্বেতচক সেতু দিয়ে পারাপার করছেন। সম্প্রতি এক স্কুলছাত্রী সাইকেলে শ্বেতচকের সেতু পার হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে জখম হয়। তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মোহাড় বাজার সংলগ্ন সেতুটির উত্তর দিকে রয়েছে কানুচক, মোহার পূর্ব, মধ্যপাড়া, উত্তর নিমকি-সহ একাধিক গ্রাম। ওই অংশে সবং ব্রহ্মময়ী হাইস্কুল, দীনবন্ধু কন্যা বিদ্যায়তনের মতো স্কুল রয়েছে। সেখানে রয়েছে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। তাই ওই এলাকায় পৌঁছতে কাটিনা, দক্ষিণ নিমকি, বরদার বাসিন্দাদের এই সেতুই একমাত্র ভরসা। তাছাড়া কাটিনার দিকেই রয়েছে মোহাড় বাসস্ট্যান্ড। ফলে বাস ধরতেও প্রতিদিন স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকে এই সেতু ব্যবহার করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা অবিরাম ভুঁইয়ার কথায়, “বাজার থেকে ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজ সবেতেই এই সেতুই একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে ধীরগতিতে কংক্রিটের সেতু নির্মাণ চলছে। এখন অবশ্য সেই কাজও বন্ধ। এ দিকে গত কুড়ি দিন ধরে বিকল্প কাঠের সেতুটিও বিপজ্জনক হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। অবিলম্বে সেতুটির পূর্ণ সংস্কার করা প্রয়োজন।” স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া বলেন, “কংক্রিটের সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে। এখন যদি কাঠের সেতুটিরও এই হাল হয় তবে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করবে কী করে? তাই আমি নিজে সেচ দফতরে অবিলম্বে ওই কাঠের সেতুটি সংস্কারের জন্য বলেছি। তাছাড়াও সেচ দফতরে কংক্রিটের সেতুটির কাজও দ্রুত শুরু করার দাবি জানিয়েছি।” সমস্যার কথা মেনে নিয়ে জেলা সেচ দফতরের সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুবীরকুমার লাহা জানান, নতুন কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে পাইলিংয়ে কিছু সমস্যা হওয়ায় আমরা মাটি পরীক্ষার জন্য বলেছি। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই ওই কাজ শুরু হবে। |
|
|
|
|
|