বধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে বেধড়ক পেটাল স্থানীয় লোকজন। পরে অভিযুক্ত যুবকের আত্মীয়েরা এসে ওই মহিলাকেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বছর চৌত্রিশের বধূর চিকিৎসা চলছে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে।
সোমবার রাতে উলুবেড়িয়ার রাজাপুর বেরাপাড়ায় এই ঘটনায় উজ্জ্বল বেরা নামে এক যুবককে ধর্ষণের চেষ্টার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হামলা চালানোর অভিযোগে ধরা পড়েছেন তাঁর স্ত্রী, দিদি। উলুবেড়িয়ার এসিডিপিও শ্যামলকুমার সামন্ত বলেন, “মহিলার স্বামী স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং মারধরের দু’টি পৃথক করেছেন। নির্দিষ্ট মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তিন জন ইতিমধ্যে গ্রেফতারও হয়েছে।” উজ্জ্বলের মায়ের খোঁজেও তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মহিলার স্বামী সাঁকরাইলের ধুলাগড়িতে একটি কারখানায় কাজ করেন। রাতের ডিউটি থাকায় বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, রাতের দিকে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন স্ত্রী-ছেলে। সে সময়ে প্রতিবেশী উজ্জ্বল পাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢোকে। স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু চেঁচামিচিতে এসে পড়ে আশপাশের লোকজন। পালাতে গিয়ে তাদের হাতে ধরা পড়ে যায় ওই যুবক। বেদম পেটানো হয় তাঁকে।
তত ক্ষণে খবর পৌঁছেছে উজ্জ্বলের বাড়িতেও। এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, আক্রান্ত মহিলার নামেই কুৎসা ছড়িয়ে ওই বাড়িতে চড়াও হয় উজ্জ্বলের স্ত্রী, দিদি ও মা। বধূটিকে অস্ত্র দিয়ে কোপায়। তাঁর পক্ষ নিয়ে ওই তিন মহিলার সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এলাকার কিছু মানুষের। খবর যায় পুলিশের কাছে। রাতেই ঘটনাস্থলে এসে বধূটিকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে পুলিশ। মহিলার স্বামীও খবর পেয়ে চলে এসেছিলেন। তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উজ্জ্বল-সহ গ্রেফতার করা হয় বাকিদের। মহিলার স্বামীর বক্তব্য, “স্ত্রীকে আগেও উত্যক্ত করেছে বিবাহিত ওই যুবক। সে কথা জানিয়েছিল স্ত্রী। কিন্তু রাতে কারখানার কাজে বেরিয়ে যেতে হত। সোমবার সেই সুযোগেই হামলা চালায় উজ্জ্বল।” |