টুকরো খবর |
দুর্ঘটনায় মৃত ৬
সংবাদ সংস্থা • নাগপুর
২৮ জানুয়ারি |
বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সের মুখোমুখি ধাক্কায় দুই মহিলা-সহ মৃত্যু হল ছ’জনের। গুরুতর আহত আরও দু’জন। সোমবার রাতে পাঁচগাঁওয়ের রাস্তায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সটি অমরাবতী হয়ে নাগপুরের দিকে যাচ্ছিল। মহারাষ্ট্রে ভাঙচুর চলছেই মহারাষ্ট্রে টোল প্লাজা ভাঙচুরের ঘটনা চলল মঙ্গলবারেও। এই ঘটনায় জড়িত ১৬ জন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে প্রায় ১০০ জন এমএনএস কর্মীকে ধরল পুলিশ। গত রবিবারে এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে বলেছিলেন কোনও রাস্তায় টোল না দেওয়ার কথা। এমনকী কেউ টোল চাইলে নির্দ্বিধায় ভাঙচুর, মারপিটের অনুমতিও দেন তিনি। তার পর থেকেই শুরু হয় তাণ্ডবলীলা। মুম্বই, নবি মুম্বই, ঠাণে, পুণে, কল্যাণ, ঔরঙ্গাবাদ, নাসিক-সহ নানা জায়গায় টোল প্লাজায় ভাঙচুর চালায় এমএনএস কর্মীরা। এই পরিস্থিতি কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র পুলিশের প্রধান সঞ্জীব দয়াল।
|
দিল্লিতে ডাকাতি
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি
২৮ জানুয়ারি |
হিন্দি সিনেমার কায়দায় দিল্লিতে এক ব্যবসায়ীর গাড়ি ও আট কোটি টাকা লুঠ করল এক দল দুষ্কৃতী। কয়েক মিনিটের মধ্যে তারা কাজ সেরে উধাও হয়ে গিয়েছে তারা। এক ফোঁটাও রক্তপাত হয়নি। মঙ্গলবার সকালে ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী রাকেশ কালরা। লাজপত নগর মেট্রো স্টেশনের কাছে তাঁর হোন্ডা সিটিকে ধাক্কা মারে একটি ওয়াগন-আর। দুই গাড়ির আরোহীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তখনই এসে দাঁড়ায় একটি হুন্ডাই ভার্না। তা থেকে তিন-চার জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী নেমে রাকেশ ও তাঁর সহযোগীদের কব্জা করে ডাকাতি করে।
|
আলফা নেত্রীর মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
২৮ জানুয়ারি |
রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল আলফা স্বাধীনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডালিমী দত্ত ওরফে অঞ্জু শইকিয়ার। মায়ানমারের আলফা শিবির থেকে তাঁর মৃত্যু-সংবাদ এসেছে। পুলিশের একাংশের মতে, মায়ানমার সেনার সঙ্গে আলফার সংঘর্ষে ডালিমী মারা গিয়েছেন। অন্য সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। শিবসাগর জেলার মেয়ে ডালিমী নব্বইয়ের দশকে আলফায় যোগ দেন। মরিয়নিতে গ্রেফতার হন তিনি। জামিন পেয়ে পরেশপন্থী শিবিরে চলে যান।
|
মনোনয়নপত্র পেশ |
|
মঙ্গলবার অসম বিধানসভায় উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি। |
রাজ্যসভা ভোটের মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন কংগ্রেস প্রার্থী সঞ্জয় সিংহ। পাশে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এবং সঞ্জয়ের স্ত্রী অমিতা সিংহ (বাঁ দিকে)। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের সাংসদ সঞ্জয়কে অসম থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী করার পর খোদ প্রদেশ কংগ্রেস ও রাজ্যের অন্যান্য সংগঠনের তরফে চলছে প্রতিবাদ। আজ মুখ্যমন্ত্রী গগৈ, প্রথম পছন্দের প্রার্থী সঞ্জয় সিংহ ও দ্বিতীয় পছন্দের প্রার্থী ভুবনেশ্বর কলিতাকে নিয়ে বিধানসভায় যান। বিধানসভার বাইরে বহিরাগত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় অসম যুব পরিষদ সদস্যরা।
|
মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা, শৈলজার গন্তব্য সংগঠন |
লোকসভা নির্বাচনের আগে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন সামাজিক কল্যাণ মন্ত্রী কুমারী শৈলজা। হরিয়ানার এই দলিত কংগ্রেস নেত্রী এখন সেখানকার লোকসভা সাংসদ। কিন্তু তাঁকে মঙ্গলবারই হরিয়ানা থেকে রাজ্যসভায় মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তার পরেই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন শৈলজা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই দলিত নেত্রীকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়ার কারণেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে। সম্ভবত তাঁকে হরিয়ানার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হবে। পরে দশ নম্বর জনপথ ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, রাহুল স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে যাঁরা সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকবেন তাঁরা ভোটে লড়বেন না। তাই দিগ্বিজয় সিংহের লোকসভা ভোটে লড়ার ইচ্ছা থাকলেও তাঁকেও রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী করা হয়েছে। রাজ্যসভায় আনা হচ্ছে শৈলজাকেও। কারণ, তিনি সাংগঠনিক দায়িত্ব পাবেন বলে ভোটে লড়বেন না।
|
জোট ছাড়তে চান ওমর |
লোকসভা ভোটের আগে এক দিকে নতুন জোট সম্পর্ক গড়তে চলেছে কংগ্রেস। তেমনই শরিক হারানোর আশঙ্কাও নতুন করে দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটের আগে ইউপিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে সোমবার কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী তথা জাতীয় কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। সোমবার দিল্লিতে জম্মু-কাশ্মীরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী অম্বিকা সোনি ও সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করেন ওমর। কংগ্রেস সূত্রে খবর, শ্রীনগরে একটি নতুন প্রশাসনিক ব্লক গড়ে তোলার ব্যাপারে ওমরের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানাচ্ছেন রাজ্য কংগ্রেস নেতারা। আবার উপত্যকায় পাথরিবাল হত্যাকাণ্ড ও একটি ধর্ষণের ঘটনায় সেনাবাহিনী ক্লিনচিট পাওয়ায় ওমর ক্ষুব্ধ। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এই দুই বিষয়ের নিষ্পত্তি না হলে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ওমর। রাজনৈতিক সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের অবস্থা করুণ হতে পারে ভেবেই যে কোনও ছুতোয় জোট ভাঙতে চাইছেন ওমর।
|
পারিবারিক সমস্যার কথা কার্লের স্ত্রীর চিঠিতে |
টাটা মোটরসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কার্ল স্লিমের মৃত্যু-তদন্তে নয়া মোড়। রবিবার ব্যাঙ্ককের এক হোটেলের তেইশ তলার ঘরের জানলা থেকে নীচে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল কার্লের দেহ। তদন্তে নেমে তাঁর ঘর থেকে ইংরেজিতে লেখা তিন পাতার একটি চিঠি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার তাই-পুলিশ জানিয়েছে, চিঠিটি কার্লের স্ত্রী স্যালির লেখা। এবং তাতে পারিবারিক অশান্তিরও ইঙ্গিত রয়েছে। সংস্থার পরিচালন সমিতির বৈঠকে যোগ দিতেই সস্ত্রীক তাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন কার্ল স্লিম। যে অবস্থায় তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছিল, তাতে প্রাথমিক ভাবে একে আত্মহত্যা বলেই অনুমান করেছিল পুলিশ। স্ত্রীর চিঠি উদ্ধারের পর বাকি সব সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুরনো খবর: টাটা মোটরস কর্তা মৃত, সন্দেহ আত্মহত্যা
|
দুর্ঘটনায় মৃত ৬ |
বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সের মুখোমুখি ধাক্কায় দুই মহিলা-সহ মৃত্যু হল ছ’জনের। গুরুতর আহত আরও দু’জন। সোমবার রাতে পাঁচগাঁওয়ের রাস্তায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সটি অমরাবতী হয়ে নাগপুরের দিকে যাচ্ছিল। অ্যাম্বুল্যান্সেই এই ছ’জন ছিলেন। বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে ধাক্কা দেয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
ধৃত প্রেমিক |
ইরানি প্রেমিকার বছর চারের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে সোমবার গ্রেফতার করা হল। অভিযুক্তের নাম অ্যাসলে ক্র্যাস্টা। তিনি মুম্বইয়ের বাসিন্দা। অ্যাসলে প্রেমিকার সঙ্গে গোয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল প্রেমিকার চার বছরের মেয়েও। প্রেমিকা জিনিসপত্র কেনাকাটির জন্য বেরোলে অ্যাসলে শিশুটিকে ধর্ষণ করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি ঘটনাটি ঘটে। প্রেমিকা পুলিশে অভিযোগ করার পর থেকেই অ্যাসলে নিখোঁজ ছিলেন। পরে তাঁকে অঞ্জুনা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
|
আর্জি খারিজ |
সমকামিতাকে বেআইনি ঘোষণা করার রায় পুনর্বিবেচনা করতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। ডিসেম্বর মাসে এই রায় দিয়েছিল বিচারপতি এইচ এল দাত্তু ও বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। পরে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি পেশ করেছিলেন কেন্দ্র ও সমকামী অধিকার সংগঠনের কৌঁসুলিরা। সেই আর্জির শুনানি হয় বিচারপতি দাত্তু ও বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের চেম্বারে। মঙ্গলবার বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আর্জি ও সংশ্লিষ্ট নথি খতিয়ে দেখা হয়েছে। রায় পরিবর্তন করার কোনও কারণ নেই। এর পরে কেন্দ্র ও সমকামী অধিকার সংগঠনগুলি সংশোধনী আবেদন পেশ করতে পারে।
|
সীমান্ত বাণিজ্য |
ভারতে মাদক পাচারকারী এক পাকিস্তানিকে হাতেনাতে ধরার বদলা নিতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাণিজ্য এবং যাতায়াত বন্ধ করে রেখে দিয়েছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে ইসলামাবাদকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল নয়াদিল্লি। অচলাবস্থার শুরু সীমান্তে মহম্মদ সাফি নামের এক পাকিস্তানি ট্রাক চালককে ভারত আটক করার পর। নয়াদিল্লির অভিযোগ, এই চালক ১১৭ প্যাকেট হেরোইন নিয়ে ভারতে ঢুকছিল। ঘটনার প্রতিবাদে সীমান্ত বরাবর সমস্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। সে দেশের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারত যে ভাবে এই ট্রাক চালককে আটক করেছে তা আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের পরিপন্থী।
|
গ্রেফতার সেনা |
বন্ধুর ১৪ মাসের শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক সেনাকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম ধর্মবীর। সোমবার তিনি তাঁরই এক বন্ধুর বাড়িতে এসেছিলেন। তখন কিছুক্ষণের জন্য ধর্মবীরকে তাঁদের শিশুকন্যার দায়িত্ব দিয়ে বেরিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মেয়ে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
|
নয়া বিতর্ক |
সঙ্গীত পরিচালক বিশাল দাদলানির টুইটকে কেন্দ্র করে এ বার বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার বৈদ্যুতিন মাধ্যমে রাহুল গাঁধীর সাক্ষাৎকারের পরে আম আদমি পার্টির সমর্থক বিশাল দাদলানি টুইট করে জানান, “নির্বোধ ও খুনির মধ্যে আটকে পড়েছি। এর পর কী হবে ভারতের!” রাহুল ও নরেন্দ্র মোদীর প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ ওই টুইটটি রিটুইট করেন অরবিন্দ। তার পর বিতর্কের সূত্রপাত। এক জন মুখ্যমন্ত্রীর শালীনতার গন্ডি পেরিয়ে এ ধরনের টুইট করা উচিত কি না তা নিয়ে মঙ্গলবার প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
|
বিপাকে বাম |
কেরলের দলত্যাগী সিপিএম নেতা টি পি চন্দ্রশেখরন হত্যাকাণ্ডে ১১ জনকে মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল বিশেষ আদালত। তাদের মধ্যে তিন জন সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য। আদালতের এই রায়ের পর রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি (কেপিসিসি)-র সভাপতি রমেশ চেন্নিথালা বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডে যে সিপিএমের-ই হাত ছিল তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
|
চাঁদা ১৮ লক্ষ |
প্রজাতন্ত্র দিবসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ১৮ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলেছেন আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা যোগেন্দ্র যাদব। তিনি লন্ডন, আমস্টারডাম, টোকিও থেকে শুরু করে শিকাগো, ফিলাডেলফিয়ার মানুষের কাছ থেকে এই অর্থ সংগ্রহ করেছেন। আপ সূত্রের খবর, এর আগে ২০১৪ সালের প্রথম দিনেই ইন্টারনেটে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলেছিলেন আপ কর্তৃপক্ষ। |
|