বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক ঠিকা শ্রমিকের দেহ তিন ঘণ্টা ধরে তারে ঝুলল। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার জামালপুরের আঝাপুরে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অসীম সরকার (৩৯)। বাড়ি মেমারির রসুলপুরে। এর প্রতিবাদে কিছু লোক মেমারি গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসে ভাঙচুর চালান। গণ্ডগোলে এক আইএনটিটিইউসি নেতা-সহ তিন জন আহত হন। তাঁদের মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বর্ধমান-বীরভূম জোনাল ম্যানেজার সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “দেহ তারে ঝুলছিল কি না, এখনও রিপোর্ট পাইনি। তবে ওই শ্রমিক বিদ্যুৎবাহী তারে কাজ শুরু করার আগে শাট ডাউন করেছিলেন কি না, তদন্ত হবে। ভাঙচুরের ঘটনায় আমাদের চার কর্মী আহত হন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে আমাদের রিজিওন্যাল ম্যানেজার গিয়েছেন।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে আঝাপুরে একটি বিদ্যুৎবাহী লাইনে উঠে সেটি সারানোর কাজ করছিলেন ঠিকাদার-নিযুক্ত ওই শ্রমিক। আচমকাই তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এর পরে তাঁর দেহ তারে ঝুলতে দেখা যায়। মৃতের গ্রাম রসুলপুর থেকে কিছু লোক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা মেমারি বিদ্যুৎ অফিসে খবর দিলেও দেহ নামানোর উদ্যোগ হয়নি বলে অভিযোগ। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে অফিসে ভাঙচুর শুরু হয়। কয়েকটি গাড়ির কাচ ও আধিকারিকদের ঘরের দরজার কাচ ভাঙচুর করা হয়।
আইএনটিটিইউসি বিদ্যুৎ কর্মী ইউনিয়নের নেতা চিত্ত সিংহরায় বলেছেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু যে ভাবে আমাদের কর্মীদের উপর চড়াও হয়েছেন লোকজন, তা মেনে নেওয়া যায় না। আশা করি পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”
জামালপুর থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, পুলিশ ও বর্ধমান থেকে যাওয়া দমকলের চেষ্টায় দেহ উদ্ধার করা হয়। জামালপুর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। |