পাঁচটি ঘরে ৩০০ জন পড়ুয়ার বসার জায়গা রয়েছে। গাদাগাদি করে আরও জনা পঁচিশেক পড়ুয়া এঁটে যায়। যদিও এ বারে ৪৯৪ পড়ুয়াকে ভর্তির নির্দেশ দেওয়ায় বিপাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত শিক্ষাবর্ষে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারা উত্তীর্ণ হওয়ার পরে বর্তমানে স্কুলের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া ১৮৮ জন। এই পরিস্থিতিতে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় দফতর রায়গঞ্জ জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে ভর্তির নির্দেশ পাঠানোয় ক্ষুব্ধ স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ জানুয়ারি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক সুবল সাহু রায়গঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আবেদনকারী ৪৯৪ পড়ুয়ার নামের একটি তালিকা তৈরি করে তা ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ভর্তির জন্য পাঠিয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্দেশ অনুযায়ী পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হলে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা দাঁড়াবে ৬৮২। এত পড়ুয়াকে পড়ানোর মতো স্কুলের পরিকাঠামো নেই বলে কতৃর্পক্ষের দাবি। ওয়ার্ড এডুকেশন কমিটির চেয়ারপার্সন রাখি দাসের দাবি, ওই স্কুলের পরিকাঠামো না থাকলেও অভিভাবকদের চাপে ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান শিক্ষিকা কমলা মুখোপাধ্যায় জানান, “স্কুলে ১৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। কয়েকটি নতুন ঘর তৈরি না হলে ৬৮২ জন পড়ুয়াকে সুষ্ঠুভাবে পড়ানো সম্ভব নয়। ওদের কোথায় বসিয়ে ক্লাস করাব?”
|
চাকুলিয়া গণধর্ষণের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। ধৃতের নাম মহম্মদ মেহেবুব। তার বাড়ি গোদাশিমূল এলাকায়। মূল অভিযুক্ত মহম্মদ কালুকে ৫ দিনের হেফাজতে নেয় পুলিশ। তারা শনিবার রাতে আজিবুল রহমানকে গ্রেফতার করে। এর পরে মেহেবুবকে ধরা হয়। এসিডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “এখনও তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযোগ, গত ১৬ জানুয়ারি চাকুলিয়ার গোদাশিমূল এলাকা থেকে জলসা দেখে বাড়ি ফেরার সময় এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে ৬ যুবক।
|
বাড়ির কাছে ডোবায় পড়ে দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বালুরঘাটের চকভৃগুর ধাউল গ্রামে। মৃত শিশুর নাম সোম ওঁরাও। লোকজনের চোখ এড়িয়ে হামাগুড়ি দিয়ে সে ডোবার জলে পড়ে যায়। অস্ত্র-সহ ধৃত। পিস্তল-সহ এক যুবককে বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ড থেকে ধরে পুলিশ। রবিবার। ধৃত দেবজ্যোতি সাহার বাড়ি শহরের বিশ্বাসপাড়ায়।
|
১০০ দিনের প্রকল্পে শ্রমদিবসের লক্ষ্যমাত্রাপূরণে কোচবিহার রাজ্যে প্রথম স্থান দখল করেছে বলে দাবি করল প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্যে প্রথম স্থান দখল করার সাফল্য প্রচারে একটি ট্যাবলোও বার করা হয়। ২০১৩-১৪ সালে কোচবিহারে ৫৪ লক্ষ শ্রমদিবস তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু গত ২৫ জানুয়ারিই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “লক্ষ্যমাত্রাপূরণে শুরু থেকে পরিকল্পনামাফিক কাজ করায় কোচবিহার রাজ্যে প্রথম স্থান দখল করতে পেরেছে। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সর্বস্তরের কর্মীদের চেষ্টাতে এটা সম্ভব হয়েছে।” একশো দিনের কাজ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অম্লান তালুকদার জানান, পরিকল্পনামাফিক প্রকল্প নির্বাচন, নতুন প্রকল্প সংযোজন ও প্রতি মাসে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে নজরদারি চালানোয় ফল মিলেছে। আগে প্রকল্পের আওতায় মাটির রাস্তা বা পুকুর খনন, সংস্কার ছিল। এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কথা মাথায় রেখে ওই তালিকায় মুগা রেশম চাষ, সমাজভিত্তিক বনসৃজন ও নির্মল ভারত অভিযানে বাড়ি বাড়ি শৌচাগার তৈরির কাজে গৃহকর্তা কিংবা তার পরিবারের একজনকেও অদক্ষ শ্রমিক হিসাবে কাজের আওতায় আনা হয়।
|
সারদার এক এজেন্টকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার রাতে বালুরঘাচের চকভবানী এলাকার বাড়ি থেকে তাঁকে ধরা হয়। তাঁর নাম সমীরেন্দ্রনাথ দাস। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। তাঁর নামে মোট ৪৮টি অভিযোগ আছে। তিনি এত দিন ফেরার ছিলেন। |