বিদায় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। স্বাগত শীত। উত্তুরে হাওয়ার দাপটে এখন এটাই চুম্বকে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া-চিত্র।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহেই জম্মু-কাশ্মীরের দিক থেকে একটি ঝঞ্ঝা উত্তরবঙ্গের আকাশ হয়ে অসমের দিকে সরে গিয়েছে। ঝঞ্ঝা সরে গেলেও, সে টেনে এনেছে উত্তরের হাওয়াকে। সেই হাওয়ার প্রবেশই পারা-পতনের কারণ। রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে দিনের তাপমাত্রাও। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সোমবার জলপাইগুড়ির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৬ ডিগ্রি কমেছে। |
কুয়াশা এবং কনকনে ঠান্ডা ছিল কোচবিহারেও। সারাদিন-ই মেঘলা ছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। মালদহেও অনুভূত হয়েছে কনকনে ভাব। সোমবার সকালে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি, দুই শহরই ছিল কুয়াশায় ঢাকা। রবিবার ছুটির দিন সকালেও কনকনে হাওয়া আর কুয়াশার কারণে চড়ুূইভাতির মেজাজে মেতে উঠতে দেখা যায় বাসিন্দাদের। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া তিস্তাপাড়ে রবিবারের মতো সোমবারেও চড়ুইভাতির আয়োজন দেখা যায়। আবার শীতের ভোগান্তিও রয়েছে। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় রবিবার রাতে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। জলপাইগুড়ির মোহন্তপাড়ার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক সিদ্ধার্থ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কুয়াশার কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক জাতীয় সড়কে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।” |
সোমবার দুপুরের পরে কুয়াশা উধাও হয়ে গেলেও, সূর্যের দেখা মেলেনি। বিকেল থেকেই ফের কনকনে হাওয়া শুরু হয়। সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা ফের দেখা গিয়েছে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়িতে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা ওই পরিস্থিতি চলবে।
|
সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |