পুরোনো অশান্তির জেরে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ও ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনায় সোমবার সকালে সুতি থানার মহলদারপাড়ায় মৃত্যু হল ইনসান আলি ওরফে মহলদার (২৯) নামে এক যুবকের। বেলা ১১ টা নাগাদ এই ঘটনার পরপরই মৃতদেহ তুলে নিয়ে গিয়ে সুতি থানায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকশো গ্রামবাসী। ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জঙ্গিপুরের মহকুমা পুলিশ অফিসার। তাঁরা বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘এই ঘটনার জেরে গ্রামে উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহলদারি চলছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।” পুলিশ জানায়, বিড়ি শিল্পাঞ্চল অরঙ্গাবাদে মহলদারপাড়ায় দীর্ঘদিন থেকেই দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছে। বোমাবাজি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে একাধিক বার। মাস তিনেক আগেও সেখানে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করা হয়। পুলিশও তিতিবিরক্ত ওই এলাকার অশান্তি নিয়ে। গত রাত্রি থেকেই বোমাবাজি চলছিল দফায় দফায়।
তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই বলে পুলিশ জানালেও, সুতি ২ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘‘এলাকার কিছু দুষ্কৃতী সকালে কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি চড়াও হয়ে বোমাবাজি ও লুঠপাট শুরু করলে সংঘর্ষ বাধে। নিজের বোমাতে নিজেই মারা গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। অথচ এলাকার কংগ্রেসকর্মীদের নামে মিথ্যে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” তাঁর দাবি, “পুলিশের উচিত নিরপেক্ষ ভাবে ঘটনার তদন্ত করে অপরাধীদের চিহ্নিত করা।” জেলা তৃণমুলের সহ সভাপতি লতিফুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, “এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” তাঁর দাবি, “পুলিশের কড়া পদক্ষেপ নিয়ে দোষীদের গ্রেফতার করা উচত।” |