|
|
|
|
নিরঙ্কুশ হল না বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ছাত্র সংসদ নিজেদের দখলে রাখলেও, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোট হওয়া আসনগুলির নির্বাচনে ধাক্কা খেল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রভোট ছিল। সব মিলিয়ে ২২টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। ভোটার না-আসায় ৪টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়নি। বাকি ১৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ডিএসও পেয়েছে ৮টি টিএমসিপি ৬টি এবং নির্দল ৪টি আসন। জয়ী ৪ জন নির্দল প্রার্থীর মধ্যে আবার ৩ জনকে সমর্থন করেছিল এসএফআই। ভোটের ফলে খুশি বিরোধী-শিবির। এই শিবিরের স্পষ্ট বক্তব্য, ফলাফলে প্রমাণিত হয় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই টিএমসিপি’র বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছেন। টিএমসিপি অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ বিভাগের প্রধান জয়ন্তকিশোর নন্দী বলেন, “সুষ্ঠু ভাবেই ভোটগ্রহণ হয়েছে। কোনও ভোটার না-আসায় ৪টি আসনে ভোট হয়নি।” |
|
ছাত্র সংসদ দখলের পর টিএমসিপি কর্মী-সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
ভোটের ফল প্রকাশের পর ডিএসও’র জেলা সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়েক বলেন, “পড়ুয়ারা তৃণমূলের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ১৪টি আসনে আমাদের প্রার্থী ছিল। তার মধ্যে ৮টিতে আমরা জয়ী হয়েছি। মত প্রকাশের সুযোগ পেলে ছাত্রছাত্রীরা আমাদেরই সমর্থন করবেন, এই ফলই যার প্রমাণ।” এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডা বলেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ছাত্রভোট হলে টিএমসিপি খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে। টিএমসিপির নীতি-আদর্শ বলে কিছু নেই। তাই জয় করার বদলে ছাত্র সংসদ দখল করা হচ্ছে। ৩ জন ওদের জোর-জুলুমের প্রতিবাদ করে প্রার্থী হয়েছিলেন। আমরা ওদের সমর্থন করেছিলাম। ৩ জনই জয়ী হয়েছেন।”
টিএমসিপি অবশ্য এই ফলে বিরোধী-শিবিরের উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো কিছু দেখছে না। টিএমসিপির জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় আমরাই আসতে চলেছি। পাশাপাশি বিরোধীদের আসন সংখ্যা আগের বারের থেকে কমেছে। এর থেকেই প্রমাণ হয় যে, ছাত্রছাত্রীরা আমাদের পাশে রয়েছেন।” যদিও তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের অন্য এক নেতার বক্তব্য, “১৮টি আসনের মধ্যে কেন ১২টি আসনে আমাদের প্রার্থীরা জিতলেন না, তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ছাত্র সংসদের মোট আসন সংখ্যা ১৪৫টি। এর মধ্যে ২টি আসনে কোনও সংগঠনেরই প্রার্থী ছিল না। ১২১টি আসনে শুধু টিএমসিপিরই প্রার্থী ছিল। অর্থাৎ, ভোট হওয়ার কথা ছিল বাকি ২২টি আসনে। এর মধ্যে ছিল গণিত বিভাগের ৪টি আসন। একজন ভোটারও না-আসায় ওই আসনগুলিতে এ দিন ভোট গ্রহণ হয়নি। কেন ওই ৪টি আসনে একজন ভোটারও এলেন না? ছাত্রকল্যাণ বিভাগের প্রধান জয়ন্তবাবু পরবর্তী সময়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|