কড়া পাহারায় আজ কলেজ ভোট
জ, মঙ্গলবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচন।নির্বিঘ্নে নির্বাচন করতে ইতিমধ্যে সব রকম পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কলেজগুলোর সামনে কড়া পুলিশি প্রহরাও থাকছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “কলেজের সামনে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” যে সব কলেজে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে, সেই সব কলেজে বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলেও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৪টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি কলেজে বিরোধী প্রার্থীই নেই। বাকি যে ১১টি কলেজে বিরোধী-প্রার্থী রয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ৫টি কলেজে টিএমসিপিকে লড়াইয়ের মধ্যে পড়তে হয়েছে। এই কলেজগুলো হল মেদিনীপুর কমার্স কলেজ, সবং কলেজ, খড়্গপুর কলেজ, চাঁইপাট কলেজ এবং হিজলি কলেজ। খড়্গপুর কলেজে ইতিমধ্যে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে সিপি। মেদিনীপুর কলেজ এবং বেলদা কলেজে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে টক্কর চলছে। এই দুই কলেজ-সহ বাকি ৬টি কলেজে অবশ্য ভোটের ফল যাই হোক, টিএমসিপির ক্ষমতায় আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ, নামমাত্র আসনে বিরোধী-প্রার্থী রয়েছে।
রাজ্যে পালাবদলের পর জেলার সর্বত্র টিএমসিপির প্রভাব বাড়ে। একের পর এক কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় আসে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। তবে, মেদিনীপুর কমার্স কলেজ এবং সবং কলেজের ছাত্র সংসদ তারা দখল নিতে পারেনি। এই দুই কলেজের ছাত্র সংসদ এখনও একক ভাবে সিপি’র দখলে রয়েছে। এ বারের ছাত্রভোটে ওই দুই কলেজ সিপি’র দখলেই থাকবে, না কি টিএমসিপি দখল নেবে, সেই দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
সবং কংগ্রেসের ‘গড়’ বলেই পরিচিত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার ২৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ২৮টিই দখল করে তৃণমূল। একমাত্র সবং পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে কংগ্রেস। অন্য দকে, মেদিনীপুর শহরেও কংগ্রেসের প্রভাব রয়েছে। গত পুরসভা নির্বাচনে একক ভাবে লড়াই করে শহরের ৬টি ওয়ার্ড দখল করে তারা।
এ বার ওই দুই কলেজে কী হবে? তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, “এটুকু বলতে পারি, আগের বারের থেকে ভাল ফল হবে। আমরা সংসদ দখল করার মতো আসনও পেতে পারি। ছাত্রছাত্রীদের উপর আমাদের আস্থা রয়েছে।” টিএমসিপি’র জেলা সভাপতির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, সবং কলেজ এবং কমার্স কলেজে কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে রয়েছে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। অন্য দকে, ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এই দুই কলেজের ছাত্র সংসদই আমাদের দখলে থাকবে। প্রচারে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ভাল সাড়া পেয়েছি।”
এ দিকে, খড়্গপুর কলেজ নির্বাচনে স্থগিতাদেশের বিপক্ষেই গেল কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি টিএমসিপির বিরুদ্ধে মনোনয়নে গণ্ডগোল-সহ একাধিক অভিযোগে সিপি ও এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে কলেজ নির্বাচনে স্থগিতাদেশ চেয়ে ওই মামলা রুজু করা হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবী সাক্য মাইতি বলেন, “আদালত নির্বাচন স্থগিত না করার নির্দেশ দিলেও, এখনও মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেনি। আশা করছি চূড়ান্ত রায়ে আদালত আমাদের দাবি বিবেচনা করবে।” কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অচিন্ত্যকুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, “আদালত মঙ্গলবার, নির্ধারিত দিনে কলেজে নির্বাচন করানোর জন্য রায় দিয়েছে। আমরা ওই নির্দেশ মেনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.