|
|
|
|
সরস্বতী পুজোয় মাইক ঠেকাতে স্মারকলিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সরস্বতী পুজোয় মাইকের উৎপাতে মেদিনীপুর শহরে কান পাতা দায়। বিশেষত, কলেজ স্কোয়ার অর্থাৎ পঞ্চুরচক থেকে গোলকুয়া চক পর্যন্ত রাস্তায় সাউন্ড বক্সের তাণ্ডব চরম আকার নেয়। মাইকের শব্দে মাটি যেন কাঁপতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা তো বটেই পথচলতি মানুষ ও ঠাকুর দেখতে আসা লোকজনও সমস্যায় পড়েন। |
|
এসডিওর কাছে ডেপুটেশনে কলেজিয়েট স্কুলের পড়ুয়ারা।—নিজস্ব চিত্র। |
কলেজ স্কোয়ার চত্বরেই রয়েছে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল (বালক)। কিন্তু শব্দদানবের তাণ্ডবে স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকরা সরস্বতী পুজো উপলক্ষে কোনও অনুষ্ঠান করতে পারে না। এ বার তাই পুজোর আগেই কলেজ স্কোয়ারের পুজোয় মাইক বাজানো নিয়ন্ত্রণের দাবিতে কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্রেরা জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিলেন। সোমবার দেওয়া ওই স্মারকলিপিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকও সাক্ষর করেছেন। ছাত্রদের সঙ্গে স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন শিক্ষক কাজল সন্নিগ্রাহী। তিনি বলেন, “পুজোয় সকলে আনন্দ করুক। তাই বলে, তারস্বরে মাইক বাজিয়ে অন্যের অসুবিধে করে নয়। মাইকের দাপটে সরস্বতী পুজোয় অনুষ্ঠান করতে চেয়েও পারি না।” প্রশাসনিক কর্তারা পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।
মেদিনীপুর শহরের কলেজ স্কোয়ারে রাস্তার দু’দিকে প্রায় ১৫টি সরস্বতী পুজো হয়। এখানে প্রধান আকর্ষণ নানা ধরনের মডেল। রাজনীতি, খেলাধুলো থেকে সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মডেলে তুলে ধরা হয়। তা দেখতেই ভিড় জমে। কিন্তু মাইকের অত্যাচারে কিছুক্ষণের মঝ্যেই পালাই পালাই দশা হয়। সমস্যা মানছেন উদ্যোক্তারাও। উদ্যোক্তা সুদীপ্ত ভৌমিক বলেন, “যে ভাবে তারস্বরে মাইক বাজানো হয়, তা ঠিক নয়। এ সব দেখে আমরা মাইক বাজানো বন্ধ করে দিয়েছি।” অন্য এক উদ্যোক্তা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর কথায়, “শব্দ দূষণ এড়াতে আমরাও বছর দু’য়েক মাইক বাজায়নি।” কিছু ক্লাবের সদস্যদের অবশ্য বক্তব্য, মাইক না বাজালে কি পুজো জমে। এ বার কী হয়, সেটাই দেখার। |
|
|
|
|
|