সন্ধ্যায় পড়শির বাড়িতে বসে টিভি দেখছিল বছর দশেকের মেয়েটি। কয়েক ঘণ্টা পরে তার অর্ধনগ্ন, নলি-কাটা দেহ মিলল ঝোপে।
শনিবার রাতে হাওড়া পুর-এলাকা সংলগ্ন বাঁকড়ার সর্দারপাড়ায় এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ করে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রবিবার এলাকায় জেলা পুলিশের কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়। আসেন আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) সঞ্জয় সিংহ-সহ হাওড়ার গ্রামীণ পুলিশের কর্তারা। আনা হয় পুলিশ কুকুর। ঘুরে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
পুলিশ জানায়, ওই বালিকার শ্বাসনালী কাটা হয়েছিল। তবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, তা জানতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। আইজি বলেন, “যেখানে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে রক্তের দাগ মেলেনি। মনে হচ্ছে, অন্য কোথাও খুন করে মেয়েটিকে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। তবে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা ময়না-তদন্ত ও ফরেন্সিক পরীক্ষার আগে বলা সম্ভব নয়।” তদন্তকারীদের অনুমান, যে কায়দায় শ্বাসনালী কাটা হয়েছে, তা কোনও পেশাদার খুনির কাজ।
পুলিশ জানায়, মেয়েটির বাবা ঢালাই মিস্ত্রি, মা পরিচারিকার কাজ করেন। তিন মেয়ে ও চার ছেলেকে নিয়ে সংসার। শনিবার মেয়েটির মা গিয়েছিলেন এক আত্মীয়ের বাড়ি। বাবা ছিলেন ক্লাবে। ছেলে-মেয়েরা বাড়িতেই ছিল। রাতে ওই দম্পতি ফিরে দেখেন, মেজো মেয়ে বাড়ি নেই। রাত ১১টা নাগাদ বাড়ির কাছেই পুকুরের সামনে মেয়েটির জুতো পাওয়া যায়। স্থানীয়েরা জলে নেমেও দেখেন। কিন্তু কিছু মেলেনি। টর্চ নিয়ে পুকুরের ধারে খুঁজতে গিয়ে ঝোপের মধ্যে মেয়েটির দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরনের গেঞ্জি গলায় প্যাঁচানো, ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত, প্যান্ট কোমরের নীচে নামানো।
পুলিশ জেনেছে, মেয়েটি সন্ধ্যায় পাড়ার এক জনের বাড়ি টিভি দেখতে গিয়েছিল। এলাকার এক যুবকও আসতেন টিভি দেখতে। যুবকটির দাবি, “আমার সঙ্গে বসে টিভি দেখছিল ও। এক সময়ে বাড়ি যাবে বলে উঠে যায়। পরে জানতে পারি, ওকে পাওয়া যাচ্ছে না।” ওই যুবকের কথায়, “হামলাকারী ওর পরিচিত বলেই মনে হচ্ছে।” মেয়ের মা বলেন, “বুঝতে পারছি না, মেয়েটাকে এ ভাবে খুন করা হল কেন?”
অন্য দিকে, সোমবার গড়িয়াহাটের জামির লেনের একটি ফ্ল্যাট থেকে পার্বতী দাশগুপ্ত (৫০) নামে এক প্রৌঢ়ার পচাগলা দেহ মেলে। পুলিশ জানায়, একাই থাকতেন পার্বতীদেবী। এ দিন কসবা থেকে তাঁর এক পরিচিত ফোন করেন। কিন্তু বহুক্ষণ ধরেও যোগাযোগ করতে না পেরে তিনি পুলিশে খবর দেন। |