|
|
|
|
লতাকে মঞ্চে এনে চাল মোদীর
সংবাদ সংস্থা • মুম্বই
২৭ জানুয়ারি |
ফের একই মঞ্চে লতা মঙ্গেশকর ও নরেন্দ্র মোদী। এবং তা নিয়ে রাজনীতির অঙ্ক কষা। লতা অবশ্য স্পষ্টই জানাচ্ছেন, এতে রাজনীতি নেই। কিন্তু জল্পনা থাকছেই। কারণ, গত নভেম্বরে এক অনুষ্ঠানে লতা সাফ জানান, তিনি মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
চিন-ভারত যুদ্ধে শহিদ সেনাদের স্মরণে ১৯৬৩ সালের ২৭ জানুয়ারি রামলীলা ময়দানে প্রথম ওই গানটি গেয়েছিলেন লতা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু-সহ উপস্থিত সকলেরই চোখ ভিজে গিয়েছিল তখন। কারণ, মাত্র কয়েক মাস আগে শেষ হওয়া চিন-ভারত যুদ্ধের স্মৃতি তখনও টাটকা। আজ সেই গানেরই ৫১ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মুম্বইয়ের মহালক্ষ্মী রেসকোর্সে লতাকে সম্মান জানালেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। লতার বক্তব্য, “সঙ্গীত ও রাজনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমি রাজনীতি নিয়ে আগ্রহী নই।” |
হাতে হাত। লতা মঙ্গেশকর ও নরেন্দ্র মোদী। মুম্বইয়ে। ছবি: পিটিআই। |
কিন্তু সত্যিই কি পুরো বিষয়টি রাজনীতিমুক্ত? এক বিজেপি নেতার কথায়, মোটেই তা নয়। জাতীয়তাবাদী রাজনীতি মোদীর ভাবমূর্তির সঙ্গে খাপ খায়। হরিয়ানাতেও প্রাক্তন সেনাদের সভায় সেই রাজনীতি করেছিলেন তিনি। জাতীয়তাবাদী রাজনীতির যে সব ক্ষেত্রে কংগ্রেসের কিছুটা গলদ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেগুলি নিয়েই ঝাঁপাতে চান মোদী।
তা-ই সর্দার পটেলের মূর্তি নিয়ে প্রচার চরমে নিয়ে গিয়েছিল মোদী শিবির। আবার সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন নিয়ে মাতামাতি করেছে বিজেপি। এখন প্রজাতন্ত্র দিবসের পরে ‘ও মেরে ওয়াতন কে লোগোঁ’-র ৫১তম বর্ষপূর্তিতে লতাকে সম্মান জানিয়ে কংগ্রেসকে ধাক্কা দিতে চেয়েছেন মোদী। জাতীয়তাবোধের সঙ্গে এই গানটির সম্পর্ক যোগ। তার সঙ্গে জড়িয়ে জওহরলাল নেহরু ও চিন-ভারত যুদ্ধের স্মৃতিও। ওই বিজেপি নেতার মতে, কংগ্রেস নেহরু-গাঁধী পরিবারের বন্দনা করতে গিয়ে এই স্মৃতিকে অবহেলা করেছে। লতাকে সম্মান জানিয়ে মোদী এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন। |
|
|
|
|
|