|
|
|
|
সোনায় শুল্ক কমানো নিয়ে ভাবনার আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২৭ জানুয়ারি |
সনিয়া-মন্ত্রেই স্বস্তি সোনায়।
দেশের গয়না শিল্পকে স্বস্তি দিতে গত সপ্তাহেই সোনার উপর চড়া শুল্কের হার কিছুটা কমানোর জন্য মনমোহন-সরকারকে ভেবে দেখার আর্জি জানিয়েছিলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী। আর তার পর আজ, সোমবারই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম জানিয়ে দিলেন, “আমার বিশ্বাস, মার্চের শেষে সোনার আমদানিতে বিধিনিষেধ নিয়ে পর্যালোচনা করা সম্ভব হবে।” সেই চিদম্বরম, যিনি গত বৃহস্পতিবারই সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, সোনায় শুল্ক কমানো এই মুহূর্তে অসম্ভব।
অর্থমন্ত্রীর এ দিনের আশ্বাসে অবশ্য স্বাভাবিক ভাবেই খুশি গয়না শিল্পমহল। তাদের মতে, এর ফলে গয়নার দাম কিছুটা হলেও কমতে পারে। কমবে চোরাচালানও। তবে এর দরুন চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা আয়-ব্যয়ের ফারাক ফের বাড়বে কিনা, তা নিয়ে চিন্তিত অনেকে।
অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের মতে, এক দিকে সনিয়ার আর্জি। অন্য দিকে, চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রার আয়-ব্যয়ের ফারাক প্রায় আশাতীত ভাবে কমে আসা। মূলত এই দু’য়ের দৌলতেই এ দিন শুল্ক কমানোর বিষয়টি পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছেন চিদম্বরম। তাঁদের মতে, গত অর্থবর্ষে ওই ফারাক ৮,৮০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল। লাগাতার পড়ছিল টাকার দাম। ফলে চেষ্টা হচ্ছিল চলতি খাতে ঘাটতিকে অন্তত সাত হাজার কোটি ডলারে নামিয়ে আনার। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, তা সম্ভবত নেমে আসবে পাঁচ হাজার কোটিরও নীচে। চিদম্বরমও বলেছেন, “চলতি খাতে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে আসা নিশ্চিত হলে তবেই পুনর্বিবেচনা করা হবে।” চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রার লেনদেনের ঘাটতিতে রাশ টানতেই সোনার আমদানি শুল্ক ২% থেকে দফায় দফায় বাড়িয়ে ১০% করে কেন্দ্র। একই সঙ্গে বলা হয়, আমদানি করা সোনার অন্তত ২০% ব্যবহার করতে হবে গয়না রফতানিতে। এর সুরাহা চেয়েই সম্প্রতি সনিয়ার দ্বারস্থ হয় অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেড ফেডারেশন। সনিয়ার ‘আর্জি’র পরও গোড়ায় এ নিয়ে ভিন্নমতই প্রকাশ করেছিলেন চিদম্বরম। যুক্তি ছিল, চলতি খাতে ঘাটতিতে পুরোপুরি রাশ না-টানা পর্যন্ত নীতি বদল সম্ভব নয়। |
|
|
|
|
|