দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে হোমস শহরের রাস্তাঘাট খুলে দিতে রাজি হল বাশার আল আসাদ সরকার। হোমস ছেড়ে বেরোতে চাইলে মহিলা ও শিশুদের আটকানো হবে না বলেও জেনিভার শান্তি বৈঠকে জানিয়েছে সিরিয়া। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় সমাধানের পথ খুঁজতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মধ্যস্থতায় সুইৎজারল্যান্ডে শান্তি আলোচনায় বসেছে সরকার ও বিরোধী পক্ষ। রবিবার যুযুধান দু’দলের আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সিরিয়ার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র এই হোমস শহর এককালে ছিল বিরোধীদের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। গত বছর হোমস ও আশপাশের অঞ্চল দখল করে নেয় প্রেসিডেন্ট আসাদের বাহিনী। তার পর থেকেই কার্যত অবরুদ্ধ গোটা শহর। বাসিন্দাদের জন্য বহু বার ট্রাকে করে খাবার ও ওষুধ পাঠানোর চেষ্টা করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং রেড ক্রসের মতো সংস্থা। কিন্তু প্রত্যেক বারই শহরে ঢোকার মুখে আটকে দেওয়া হয় তা। মানবিকতার স্বার্থে হোমসের অবরোধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল বিরোধীরা। সেই দাবি মেনে নিয়ে উপ বিদেশমন্ত্রী ফয়জল মেকদাদ বলেন, যে সব মহিলা ও শিশু হোমস ছাড়তে চান, তাঁদের নামের তালিকা হাতে পেলে আর বাধা দেওয়া হবে না।
হোমস নিয়ে সরকার আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এলেও বিরোধীদের কেন্দ্রীয় দাবি নিয়ে তারা এখনও নীরবই। বছর দু’য়েক ধরে চলা গৃহযুদ্ধে সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন এক লক্ষ মানুষ। ঘরছাড়া ২০ লক্ষেরও বেশি। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে প্রেসিডেন্ট আসাদকে সরিয়ে এক অস্থায়ী সরকার গঠন করার দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। সেই প্রশ্নে এই শান্তি সম্মেলন কতটা ফলপ্রসূ হয়, সেটাই দেখার। |