জেলার সমস্ত থানার লকআপগুলিকে পরিষ্কার রাখতে ও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করতে উদ্যোগ নিল বর্ধমান জেলা পুলিশ।
সম্প্রতি বর্ধমান থানার জেল হাজতের সংস্কার করা হয়েছে। হাজতের ভিতরে বসানো হয়েছে পাথর। তৈরি করা হয়েছে আধুনিক শৌচালয়। থানার নাগরিক সমিতির সহযোগিতায় তৈরি ওই নতুন রূপের জেল হাজতের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমানের এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা। তিনি বলেন, “জেলার প্রায় সব থানাতেই হাজতগুলির অবস্থা খারাপ। তাই আমরা প্রতিটি থানাকে নাগরিক কমিটির সহযোগিতা নিয়ে জেল হাজতগুলির সংস্কারের উদ্যোগ নিতে বলেছি। আশা করি জেলার সমস্ত থানাই এই উদ্যোগ নেবে।”
বর্ধমান থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বর্ধমান শহরের এক ব্যবসায়ীকে। পরে তাঁকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। কয়েক দিন পরে জামিনে ছাড়া পান ওই ব্যবসায়ী। তারপরে তিনি বর্ধমান থানার আইসি দিলীরকুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে জেল হাজতের বেহাল দশার কথা জানান। তিনি আইসিকে জানান, জেল-হাজতের মধ্যে রয়েছে প্রচুর বিছে ও আরশোলা। শৌচাগারের অবস্থাও খুব খারাপ। খাবার খাওয়ার সময়েও শৌচাগারের গন্ধ নাকে আসে। হাজতের হাল ফেরাতে পুলিশকে অনুরোধ করেন ওই ব্যবসায়ী। এরপরেই নড়েচড়ে বসে বর্ধমান থানা। থানার নাগরিক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসা হয়। সেখানেই ঠিক হয়, বর্ধমান থানার জেল হাজতের সম্পূর্ণ সংস্কার করা হবে। কিন্তু এই কাজে সমস্যা হয়ে দাড়ায় অর্থ। কারণ, জেল হাজত সংস্কারের কাজে সরকারি অর্থ মিললেও সেটি প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট ছিল না। সমস্যা মেটাতে নাগরিক কমিটির সাহায্য নেওয়া হয়। তৈরি হয় নতুন জেল হাজত। অন্য থানাগুলিতে কবে নেওয়া হয়, এখন সেটাই দেখার। |