জেলা কৃষি খামারে চলতি বছরেই শুরু হতে চলেছে কৃষি স্নাতক কলেজ।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আপাতত এই কলেজ শুরু হবে ২৫ জন ছাত্র নিয়ে। শনিবার ওই খামার পরিদর্শনে আসে একটি দল। ওই দলে ছিলেন রাজ্যের কৃষি সচিব সুব্রত বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি বিষয়ক পরামর্শদাতা প্রদীপ মজুমদার, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চিত্ত কোলে, উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্বদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক শিবানী ঘটক ও কৃষি মন্ত্রী মলয় ঘটক।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রের খবর, চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট প্রকাশের পরেই বর্ধমানের এই কৃষি স্নাতক কলেজে ছাত্র ভর্তির ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন কর্তৃপক্ষ। পড়াশোনা ছাড়াও পড়ুয়াদের কলেজে থাকার বিষয়ে আলোচনা হয় এ দিন। জেলা কৃষি খামারে অবস্থিত কোন-কোন ভবন এই কাজে ব্যবহার হবে, কোন ভবনের পরিবর্তন ঘটানো হবে, নতুন কী কী ভবন তৈরি হবে, তাও পরিদর্শনের সময় আলোচিত হয়েছে। রাজ্যে এমন আরও দু’টি কলেজ তৈরি হবে। তাদের একটি বাঁকুড়ার শুশুনিয়া কৃষি খামারে। অন্যটি উত্তরবঙ্গে।
ছাত্রদের পড়ানোর জন্য আপাতত বর্ধমানের এই কৃষি কলেজে ১১ জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হবে। একই সঙ্গে জেলা সদরের মুখ্য কৃষিকরণে নিযুক্ত যে সব কৃষি কর্মীদের কৃষিতে এমএসসি ও পিএইচডি রয়েছে, তাঁদেরও এই কাজে লাগানো হবে।
কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “আমরা এই কলেজটি যত দ্রুত সম্ভব চালু করতে চাই। নতুন শিক্ষায় শিক্ষিত স্নাতকেরা এই কলেজ থেকে বেরোলে তাঁদের মাধ্যমে খেতে নতুন পদ্ধতিতে ফসলের চাষে উৎসাহ দেওয়া যাবে চাষিদের। ফলে বর্ধমান চাষে আরও এগিয়ে যাবে বলে আমাদের আশা।”
জেলা মুখ্য কৃষিকরনের এক আধিকারিকের কথায়, “জেলায় কৃষি কর্মীদের সংখ্যা ক্রমে কমে আসছে। যাঁরা অবসর নিচ্ছেন, তাঁদের জায়গায় নতুন করে লোক নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এখন যোগ্য লোকের অভাব রয়েছে।” |