প্রবল টিএমসিপি হাওয়ার মধ্যেও কি জেলায় নিজেদের একদা দুই দুর্গে সম্মান বাঁচাতে পারবে ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই? আজ, বর্ধমানের কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রশ্ন এখন এটাই।
বর্ধমান জেলায় রয়েছে মোট তিরিশটি কলেজ। এর মধ্যে সরাসরি নির্বাচন হচ্ছে মাত্র দু’টি কলেজে। এই দু’টি কলেজ হল কাটোয়া কলেজ ও রানিগঞ্জ গার্লস কলেজ। এর মধ্যে কাটোয়া কলেজের ছাত্র সংসদ ১৯৮৩ সাল থেকে ছাত্র পরিষদের দখলে। অন্য দিকে রানিগঞ্জ গার্লস কলেজ ১৯৬৮ সাল থেকে এসএফআইয়ের দখলে। এ বার কাটোয়া কলেজের ৪২টি আসনেই ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সরাসরি লড়াই হচ্ছে। রানিগঞ্জ গার্লস কলেজের ২৯টি আসনের মধ্যে মাত্র ১২টিতে টিএমসিপি ও এসএফআইয়ের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। এই কলেজের ৬টি আসনে কোনও ছাত্র সংগঠনই প্রার্থী দিতে পারেনি। বাকি ২৩টি আসনের মধ্যে ৬টি আসনে টিএমসিপি ও ৫টি আসনে এসএফআই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছে। ফলে এই কলেজের ছাত্র সংসদে দু’টি ছাত্র সংগঠনেরই জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। |
ছাত্র সংগঠনগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা যেমন ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছে, তেমনই প্রচার চালানো এসএমএস ও ফেসবুকেও। কোথাও কোথাও লেখা হয়েছে দেওয়াল। ছাত্র পরিষদের কাটোয়া মহকুমার নেতা শেখ সোলেমান বলেন, “আমরা প্রথম বছরই ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে প্রচার করি। এটা নতুন কিছু নয়। তবে এ বার প্রচারের অন্য দিকগুলিকেও আমরা ব্যবহার করেছি। আমাদের প্রার্থীদের নাম ও পরিচয়পত্র নিয়ে কখন কলেজে ঢুকতে হবে সেগুলি জানিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এসএমএস করা হয়েছে।” রানিগঞ্জ গার্লস কলেজের এসএফআই কর্মীরাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছে বলে জানান এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর দে। এসএফআই ও ছাত্র পরিষদ উভয় ছাত্র সংগঠনেরই দাবি, গোটা জেলাতে টিএমসিপির ‘সন্ত্রাসে’ তাদের কলেজ ভোটে লড়তে দেওয়া হয়নি। এই দু’টি কলেজের প্রচারেও তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে টিএমসিপির জেলা সম্পাদক অশোক রুদ্র বলেন, “যে দু’টি কলেজে ভোট হচ্ছে সেখানে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করছি। প্রচারেও কোনও ফাঁক রাখা হয়নি। আশা করি, জেলার অন্য কলেজগুলির মতোই কাটোয়া ও রানিগঞ্জ মহিলা কলেজেও ছাত্রছাত্রীরা আমাদেরই জেতাবে।” |
আজ, মঙ্গলবার সকালে ভোট হওয়ার পরে বিকালের পরেই বেরোবে ভোটের ফল। তখনই বোঝা যাবে, কার প্রচারে কান রেখেছে কলেজের ভোটাররা।
|