এক বার উদ্যোগী হলেও ব্যবসায়ীদের একাংশের বাধায় বিধান মার্কেটের অত্যাধুনিকরণের কাজ শুরু করতে পারেননি। ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই নতুন মার্কেট কমপ্লেক্সের পরিবর্তে যে জায়গায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কারবার করছেন তার পাট্টা দাবি করেন। শনিবার ব্যবসায়ীদের অনুরোধে বিধান মার্কেট মাছ বাজার এবং বাজারের একাংশ পরিদর্শন করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়ে দেন, বিধান মার্কেট অত্যাধুনিক রূপে গড়ে তোলার কাজ তাঁরা করবেন। এ দিন তাঁর দাবি, “কিছু ব্যবসায়ীর আপত্তি থাকলেও অপর একাংশ বিধান মার্কেটকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তুলতে চাইছেন। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ওই বাজার অত্যাধুনিক রূপে গড়তে উদ্যোগী হবে। তবে যে সব ব্যবসায়ীদের আপত্তি রয়েছে তাঁদের জায়গা ছেড়ে দিয়ে যাঁরা চাইছেন তাঁদের দোকানের অংশে আপাতত নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।” তিনি জানিয়ে দেন, এই সরকার জোর করে কিছু করার পক্ষে নয়। মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে বলেছেন। শহরের কেন্দ্রের ওই বাজার অত্যাধুনিক রূপে গড়ে তুলতে পারলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছেও সেটা ভাল হবে বলে মন্ত্রীর মত। তা ছাড়া অত্যাধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্স গড়া গেলে শহরের কেন্দ্রে এই জায়গায় ‘পারকোম্যাট’ করা যাবে বলে তিনি আশাবাদী। তাতে অন্তত ৩ হাজার গাড়ি দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।
বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র দাস বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীরা যা চাইবেন সমিতি-ও সেই মতোই মত দেবে। তবে মন্ত্রীর বক্তবের পর আমরা নিজের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। তার পরেই এ ব্যাপারে জানাব।” |