অতিরিক্ত পণ না পেয়ে শ্বাসরোধ করে এক তরুণীকে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার সিন্দ্রাণী এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম যূথী বিশ্বাস (২৩)। তাঁর বাবা মনোরঞ্জন মজুমদারের অভিযোগের ভিত্তিতে যূথীর শাশুড়ি অনিতা বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যূথীর শ্বশুর অসীম বিশ্বাস, স্বামী শঙ্কর ও ননদ গুড্ডু পলাতক। অসীমবাবু সিন্দ্রাণী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৩-র ৫ জুলাই নদিয়ার পানিখালি গ্রামের যূথীর সঙ্গে সিন্দ্রাণীর শঙ্করের বিয়ে হয়। যূথীর বাপের বাড়ি লোকেরা জানান, শনিবার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেই তাঁরা মেয়ের মৃত্যুর খবর পান। কিন্তু মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে কাউকেই দেখতে পাননি তাঁরা। এলাকার কয়েক জন যূথীকে বাগদা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে যূথীকে। সকালে পুলিশ আসার খবর পেয়ে অভিযুক্তেরা পালায়। পরে অবশ্য এলাকা থেকেই যূথীর শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়।
মনোরঞ্জনবাবু জানান, মেয়ের বিয়ের সময় তিনি পণ দিয়েছিলেন। বিয়ের এক মাস পর থেকে ফের পণের দাবিতে যূথীর উপর নির্যাতন শুরু হয়। মনোরঞ্জনবাবুর অভিযোগ, “দাবি মতো পণ না দেওয়ায় মেয়েকে খেতে দেওয়া হত না।” যূথীর মা কল্পনাদেবীও বলেন, “এক লক্ষ টাকা দিতে না পারলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল মেয়েকে। কিন্তু সত্যিই যে ওরা মেয়েকে মেরে ফেলবে, তা বুঝিনি।” মনোরঞ্জনবাবু বলেন, “মাছের ব্যবসা করে এত টাকা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। ওদের হাতে পায়ে ধরেছিলাম। তা-ও ওরা আমার মেয়েকে বাঁচতে দিল না।” |