বহু দিন ধরেই হাওড়ার বাকসাড়ার নবনারীতলায় চোলাই মদের কিছু ঠেক চলছিল। অভিযোগ, সব জেনেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। তাই ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের কয়েক জন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঠেকগুলি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। শনিবার দুপুরে তাঁদেরই এক জনকে লক্ষ করে দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়ে খুন করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। যদিও সেই বোমাটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় ওই ব্যক্তি প্রাণে বেঁচে যান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ঘেরাও করে রাখেন। শেষমেশ পুলিশ দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার ও চোলাই মদের সমস্ত ঠেক বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিলে ঘেরাও উঠে যায়। নবনারীতলা ফার্স্ট বাই লেনের ওই বাসিন্দার নাম মানস ঘোষ।
পুলিশ জানায়, ছেলের স্কুল ছুটির পরে তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মানসবাবু। ওই সময়েই ঘটনাটি ঘটে।এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ওই এলাকার ইন্দিরা কলোনিতে চোলাই মদের ঠেক চালায় আলু নামে এক দুষ্কৃতী ও তার সঙ্গীরা। ঠেকে অন্য এলাকার দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় মাঝেমধ্যেই গণ্ডগোল হয়। পথচলতি মানুষকেও নানা রকম হুমকি দেওয়া হয়। স্থানীয় কয়েক জনের অভিযোগ, মানসবাবু যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন বাঘের বেড় এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ পাল নামে এক যুবক তাঁকে কটু কথা বলতে থাকে। ওই সময়েই বোমা ছোড়া হয়। কিন্তু অভিজিৎ ওই দুষ্কৃতী দলের কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। অনেকের মতে, ওই যুবক ও তার সঙ্গীরা এই ঘটনায় যুক্ত।
বাসিন্দাদের একাংশ অভিজিৎকে ধরে ফেলেন। তাকে বেঁধে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। মানসবাবুর ভাই সনৎ ঘোষ বলেন, “ওই চোলাইয়ের ঠেকে রোজই গোলমাল হয়। মহিলারাও সন্ধেবেলার পরে বেরোতে ভয় পান।” তাঁর দাবি, চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশকে বারবার বলেও কোনও কাজ হয়নি। উল্টে এলাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, মানসবাবু থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। |