|
|
|
|
চাকুলিয়ায় গণধর্ষণে ধৃতের পুলিশ হেফাজত
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
চাকুলিয়ার এক কিশোরীর গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার অভিযুক্ত মহম্মদ কালুকে আদালতে তোলা হলে ইসলামপুরের অতিরিক্ত মুখ্য ও দায়রা আদালতের বিচারক বিকাশ লামা ওই নির্দেশ দেন। আদালতের সরকারি আইনজীবী সৌমিত্র সিংহ সরকার জানান, ধৃতের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং শিশুদের যৌন হেনস্থা আইন রুজু করা হয়েছে।
এ দিন আদালতে কিশোরীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৬ জানুয়ারি চাকুলিয়ার গোদাশিমূল এলাকায় গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ওই কিশোরী লাগোয়া গ্রামে কয়েকজন বান্ধবীর সঙ্গে জলসা দেখতে গিয়েছিল। ফেরার পর অভিযুক্ত ৬ জন ওই মেয়েদের তাড়া করে বলে অভিযোগ। তিনজন মেয়ে পালাতে পারলেও ওই কিশোরীকে দুষ্কৃতীরা ধরে ফাঁকা মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর কিশোরীর বাবা বাড়ি না থাকায় বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ জমা পড়ে। ঘটনায় ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়লেও এখনও পর্যন্ত এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। কিশোরীর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে।”
এ দিন গোপন জবানবন্দি দিয়ে বার হওয়ার পর কিশোরী জানিয়েছে, “ওরা আমাকে জোর তুলে নিয়ে যায়। পুলিশকে সব বলেছি।” পুলিশ সূত্রের খবর, পাশাপাশি গ্রাম হওয়ায় সুবাদে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে ওই কিশোরী চিনতে পেরেছিল। তাই পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগে ছয়জনের মধ্যে তিনজনের নাম দেওয়া হয়। কিশোরীর বাবা এ দিন জানান, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে মালদহে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে শুনতে পাই মেয়ে জলসা দেখে ফেরার সময় তাকে গণধর্ষণ করেছে দুষ্কৃতীরা। বাড়ি ফিরে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করিয়েছি। দুষ্কৃতীরা কঠোর শাস্তি চাই। অন্যদিকে, ধৃত মহম্মদ কালু এদিন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |
|
|
|
|
|