অবশেষে কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডে চালু হতে চলেছে স্বাস্থ্য ইউনিট।
এই এলাকায় এখনও সামান্য জ্বর কিংবা পেটের অসুখ— দৌড়তে হয় এম আর বাঙুরে। রোগনির্ণয়ের কোনও সাধারণ পরীক্ষার জন্যও বাঙুরই ভরসা। তাই কলকাতা পুরসভার ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র দাবি তুলেছিন। দাবি মেনে, ১৯৭৭-এ তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভোলানাথ সেন একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করেন। কিন্তু তার পরে কাজ এগয়নি। এ বার এই ওয়ার্ডে পুরসভার উদ্যোগে স্বাস্থ্য ইউনিট চালু হতে চলেছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, এত দিন কলকাতা পুরসভার অন্য ওয়ার্ডগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য ‘হেলথ ইউনিট’ থাকলেও, এই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের এম আর বাঙুরের উপরে ভরসা করে হত। কাউন্সিলর রত্না শূর জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই এলাকায় স্বাস্থ্য ইউনিট চালুর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। চেষ্টা করা হবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই চিকিৎসক-সহ অন্য কর্মী নিয়োগ করে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার। |
চলছে নির্মাণ কাজ। ছবি: অরুণ লোধ। |
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, করুণাময়ী ঘাট রোডে পুরসভারই একটি খালি জায়গা পড়ে ছিল। সেখানেই প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা খরচ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। চার তলা এই ভবনটির প্রথম তলাতেই আপাতত তৈরি হবে স্বাস্থ্য ইউনিটটি। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি টিবি, জ্বর বা সাধারণ সব রোগেরই চিকিৎসা পাবেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। শুধু চিকিৎসক দেখানোই নয়, মিলবে এই সব রোগের ওষুধও।
রত্নাদেবী বলেন, “আপাতত ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ইউনিটটি চালু করা হবে। সপ্তাহের ছ’দিন ধরেই বাসিন্দারা সাধারণ সব ধরনের রোগের চিকিৎসা পাবেন। সামান্য কিছু হলেই বাঙুর পর্যন্ত দৌড়তে হবে না।”
স্থানীয় বাসিন্দা মিনু নস্কর বলেন, “এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলে আমার মতো গরীব মানুষদের সুবিধা হবে। সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে যাতায়াতের একটা খরচ পড়ে। কিন্তু ওয়ার্ডের মধ্যে চিকিৎসা করানোর সুবিধা থাকলে সে খরচও হবে না।” পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, “বিনামূল্যের এই পরিষেবায় সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
আমরা চেষ্টা করছি অন্য যে সব ওয়ার্ডে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই, সেখানে যত তাড়াতাড়ি পারি তা তৈরি করার।”
|
চক্ষু শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের এনএসএস ইউনিটের উদ্যোগে শুক্রবার মুড়াকাটা গ্রামে একটি চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবিরে ৮৭ জনের চক্ষু পরীক্ষা হয়। অবশ্য প্রতিটি মানুষেরই স্বাস্থ্য বিমার কার্ড রয়েছে। |
আবার শিশুমৃত্যু মুজফ্ফরনগরের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ শিবিরে। এ বার মালাকপুর গ্রামের ত্রাণ শিবিরে পাঁচ মাসের ওই শিশুর নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সুপার চরণ সিংহ জানান। তিনি আরও জানান, ঘটনার পুরো তদন্তের জন্য তদন্তকারী দলও পাঠানো হয়েছে। গত ডিসেম্বরে মুজফ্ফরনগরের ওই ত্রাণ শিবিরে শীতে ১২ জন শিশু মারা যায়। সেপ্টেম্বরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে মুজফ্ফরনগরে প্রাণ হারান ৬০ জন। ঘরছাড়া কম করে ৪০ হাজার মানুষ। |