|
|
|
|
বাড়ছে মহিলা ভোটার, এগিয়ে পশ্চিম
বরুণ দে • মেদিনীপুর |
মহিলা ভোটারের সংখ্যা বাড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। গত বছর যেখানে এক হাজার পুরুষ ভোটার পিছু মহিলা ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯৩৬, সেখানে এ বার এক হাজার পুরুষ পিছু মহিলা ভোটারের সংখ্যা হয়েছে ৯৪৫। ভোটার তালিকায় মহিলাদের নাম তোলার মাপকাঠিতে রাজ্যের গড়ের থেকেও কিছুটা এগিয়ে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। এই জেলায় প্রতি হাজার পুরুষ পিছু মহিলা ভোটার যেখানে ৯৪৫ জন, সেখানে গোটা রাজ্যে প্রতি হাজার পুরুষে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৯২৩। সংখ্যাটাকে আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। জেলা প্রশাসন চাইছে, তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে ভোটদানে উৎসাহ আসুক। পশ্চিম মেদিনীপুরের ওসি (ইলেকশন) বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের সকলেরই উচিত, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা।” তরুণ ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা গড়তে নানা কর্মসূচি করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এ বার জেলায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৯৫ জন ভোটার বেড়েছে। এঁদের অধিকাংশই তরুণ প্রজন্মের। ২০১৩ সালে জেলায় মোট ভোটার ছিল ৩৯ লক্ষ ২৬ হাজার ২৫৬। এর মধ্যে পুরুষ ২০ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৬৪, মহিলা ১৮ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪৮২। অনান্য ১০। ২০১৪ সালে সেখানে ভোটার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮৫১। এর মধ্যে পুরুষ ২০ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯০৭, মহিলা ১৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৯৩৪। অনান্য ১০। জেলার ১০০ শতাংশ ভোটারের কাছেই সচিত্র পরিচয়পত্র রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত বছর ৯৯.৬৩ শতাংশ ভোটারের কাছে সচিত্র পরিচয়পত্র ছিল। |
|
আজ জাতীয় ভোটার দিবস |
সাল |
মহিলা ভোটারের সংখ্যা* |
২০১২ |
৩৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ০৭৮ |
২০১৩ |
৩৯ লক্ষ ২৬ হাজার ২৫৬ |
২০১৪ |
৪০ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮৫১ |
*(পশ্চিম মেদিনীপুরের পরিসংখ্যান) |
|
জেলার জঙ্গলমহলে অশান্তি পর্বে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের একটা দূরত্ব তৈরি হয়। তখন কয়েকটি এলাকায় ভোটার-তালিকায় নাম তোলার কাজ ব্যাহত হয়। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। রাজ্যে পালাবদলের পর জনসংযোগে নানা পদক্ষেপও শুরু করে পুলিশ-প্রশাসন। প্রতি বছর ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হয়। সেই মতো আজ, শনিবার জেলাতেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হবে। নতুন ভোটারদের হাতে সচিত্র পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হবে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন চাইছে, তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে ভোটদানে উৎসাহ আসুক। ভোটারদের সচেতন করতে এ বার বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানো হয়। এই সব কর্মসূচির ফলে তরুণ প্রজন্ম উৎসাহিত হচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে। তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ভোটার-তালিকায়।
প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হয়। গোড়ায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। তারপর নতুন নাম তোলার আবেদন জমা পড়ে। খসড়া তালিকা নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তা-ও জমা পড়ে। সব দিক খতিয়ে জানুয়ারিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। এ বার যেমন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৯৫ জন ভোটার বেড়েছে, তেমন গত বারও ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৭৮ জন ভোটার বেড়েছিল। তবে, মহিলা ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি একটা ভাল দিক বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলছিলেন, “আশা করি, আগামী বছর প্রতি হাজার পুরুষে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৯৫০ ছাড়িয়ে যাবে। জেলা থেকে সেই চেষ্টাই করা হবে।” |
|
|
|
|
|