|
|
|
|
নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রৌঢ়
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর ও মেদিনীপুর |
পাঁচ বছরের এক তেলুগু বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বছর পঞ্চাশের এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। গত সোমবার বেলদার মহম্মদপুর উত্তর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। মামাবাড়িতে গিয়েছিল ওই বালিকা। পড়শি প্রৌঢ় বিষ্ণুপদ সিংহ তাকে চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে বৃহস্পতিবার বিকেলে বেলদা থানায় অভিযোগ করেন ওই নাবালিকার মা। মেয়েটিকে প্রথমে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। অভিযুক্ত বিষ্ণুপদ অবশ্য পলাতক।
ওই নাবালিকার পরিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন, পুলিশে যাওয়ার আগে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেছিলেন। নাবালিকার মা বলেন, “আমার মেয়েকে ওই বিষ্ণুপদ সিংহ বাড়িতে ঢেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। তারপরেও স্থানীয় তৃণমূল নেতা অনিমেষ রণসিংহের উপস্থিতিতে ক্লাবে বসে টাকার বিনিময়ে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। আমরা তাতে রাজি হইনি। যে আমার মেয়ের উপর এমন নির্যাতন করল, তার শাস্তি চেয়েছি।” স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সালিশি সভা বসে। ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়ার চেষ্টা হলেও নাবালিকার পরিবার রাজি হয়নি। অভিযুক্ত বিষ্ণুপদের ছেলে রণজিতেরও বক্তব্য, অভিযোগ মিথ্যা। তাই ব্যাপারটা যাতে পুলিশ পর্যন্ত না গড়ায় তাই আমরা টাকা দিয়ে মীমাংসা করতে রাজি হই।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “ওরা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ সক্রিয় থাকায় তা হয়নি। ধর্ষণের মামলা রুজু করেছি। তবে ঘটনাটি যৌন নির্যাতন না ধর্ষণ, তা মেডিক্যাল রিপোর্ট আসার পরই পরিষ্কার হবে।” টাকা নিয়ে রফার চেষ্টার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অনিমেষ রণসিংহ বলেন, “আমি কোনও মীমাংসা করতে চাইনি। থানায় অভিযোগ করতে বলি।”
ওই বালিকার বাড়ি খড়্গপুরের চিনাটাউনে। তার বাবা হোটেলের কর্মী। গত সোমবার মায়ের সঙ্গে বেলদার মহম্মদপুরে মামাবাড়িতে বেড়াতে যায় ওই বালিকা। বিকেলে চার বছরের মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে মামাবাড়ির উঠোনে খেলার সময় বিষ্ণুপদ দু’জনকে চকলেট দেবে বলে ঢেকে নিয়ে যায়। অভিযোগ, মামাতো ভাইকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালায় বিষ্ণুপদ। পরে ওই নাবালিকা মামাবাড়িতে ফিরে ঘটনার কথা জানায়। ইতিমধ্যে চম্পট দেয় অভিযুক্ত প্রৌঢ়। ঘটনার সময় বিষ্ণুপদের স্ত্রী সন্ধ্যা ও ছেলে রনজিৎ কেউই বাড়িতে ছিলেন না। বুধবার রাত থেকে নাবালিকার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযুক্তের খোঁজে ওড়িশার বালাসোরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”
|
|
|
|
|
|