কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপরে সার দিয়ে দাঁড়াচ্ছে বাস। কিন্তু অতি অল্প সময়ের জন্য। পিছনে যাত্রীরা ছুটছেন। কারণ, তাড়া দিচ্ছে পুলিশ। প্রতি দিন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়গপুর শাখার সাঁতরাগাছি রেলস্টেশনের কাছে যাত্রীদের এই ভোগান্তি হয়। তাই এখানে একটি বাসস্ট্যান্ডের দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।
সাঁতরাগাছি রেলস্টেশনের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। এই শাখার প্রতিটি লোকাল ট্রেনে এখানে দাঁড়ায়। দাঁড়ায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক্সপ্রেসগুলিও। ফলে প্রতি দিনই এই স্টেশনে যাত্রী-চাপ থাকে। এখানে নেমে সহজে দক্ষিণ-কলকাতায় যাওয়া যায়। কিন্তু এখানে কোনও বাসস্ট্যান্ড নেই।
যাত্রীরা জানান, কলকাতা যাওয়ার জন্য অনেক যাত্রীই এই স্টেশনে নেমে বাস ধরেন। এখান থেকে ধর্মতলা যাওয়ার বাসের সংখ্যা খুব কম। রবীন্দ্র সদন, কালীঘাট যাওয়ার বাসে খুব ভিড় থাকে। বাস আসা মাত্রই যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। |
এ ভাবে বাসে উঠতে মহিলা, প্রবীণ ও ছোটদের খুবই অসুবিধা হয়। কুলগাছিয়ার বাসিন্দা সন্দীপ কর বলেন, “রাস্তার উপরেই বাসগুলি দাঁড়ায়। পাশ দিয়েই অন্য গাড়িগুলি জোরে চলে যায়। যে কোনও সময়েই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এখানে বাসস্ট্যান্ড দরকার।”
বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট সূত্রে খবর, এই জায়গা দিয়ে প্রতি দিন দু’শোটিরও বেশি বাস যায়। বাগনান-ধর্মতলা, বাঁকড়া-ধর্মতলা ভায়া হাওড়া, সাঁতরাগাছি-এক্সাইড-সহ বেশ কয়েকটি রুটের বাস এই রাস্তা দিয়ে যায়। কিন্তু এখান থেকে কোনও বাস ছাড়ে না। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত ঘোষ বলেন, “সাঁতরাগাছি স্টেশনের কাছে বাসস্ট্যান্ড দরকার।”
রেল সূত্রে খবর, সাঁতরাগাছি স্টেশনের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে আন্ডারপাস পার হয়ে ডান ও বাম দিকে বেশ খানিকটা জায়গা পড়ে রয়েছে। এটি রেলেরই জায়গা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এখানে বাস টার্মিনাস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সৌমিত্র মজুমদার বলেন, “ওই স্টেশনের জন্য প্রায় দু’শো কোটি টাকার পরিকল্পনা রয়েছে। টার্মিনাস, পার্কিং-সহ অনেক কিছুই এই প্রকল্পে রয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।” |