উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে ২৪ ঘন্টা আগেই। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তার জন্য যে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল তা মঙ্গলবার সকাল থেকেই খুলে ফেলা শুরু হয়েছে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে অন্য নিরাপত্তার চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের মাথায়। আগামী ২৩ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ উৎসবের অঙ্গ হিসেবে ১৫ হাজার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একসঙ্গে একই অঙ্গন থেকে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা করতে উদ্যোগী উৎসব কর্তৃপক্ষ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব চান, এই সংখ্যাটা হোক গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নথিভুক্ত। আর এটা সফলভাবে সম্পন্ন করাই ‘চ্যালেঞ্জ’ প্রশাসনের কাছে। বিশেষ করে শিলিগুড়ি পুলিশকে এজন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য। |
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মঞ্চের সামনে থেকে খুলে
ফেলা হয়েছে ব্যারিকেড। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগ মোহন বলেন, “বসে আঁকোতে যোগ দিতে আসা ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হবে। স্টেডিয়ামের চারপাশে পুরুষের পাশাপাশি মহিলা পুলিশও থাকবে।” আগের বারের এক হাজার জন কচিকাঁচাদের একসঙ্গে সমবেত গানের অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। সে কথা মাথায় রেখে এবার আর কোনও ঝুঁকি নিতে চান না পুলিশ কর্তারা। উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধন উপলক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। ২৩ তারিখও অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীকে তৈরি রাখা হবে স্টেডিয়াম চত্বরে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। ওইদিন স্টেডিয়ামে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ডিসি, এডিসি, এবং এসিপিদের।
শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি ও জি পাল বলেন, “আমাদের উপরে নিরাপত্তার বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে অনুষ্ঠান সফল করার। এটা সফল করাই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। দার্জিলিং এর জেলাশাসক পুনীত যাদব বলেন, “উৎসবের শেষ পর্যন্ত কড়া নজরদারিতে সুষ্ঠু উৎসব করাই আমাদের লক্ষ্য। তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এবারে বাচ্চাদের অভিভাবকদের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উৎসব কমিটি। তথ্য সংস্কৃতি দফতরের দায়িত্বে সমস্ত অনুষ্ঠানটি থাকলেও হাতে কলমে সামলাচ্ছেন অরবিন্দ ঘোষ। তিনি জানান, মোট ১৫ হাজার ছাত্রছাত্রী লক্ষ্য থাকলেও ১২ থেকে ১৩ হাজার অংশগ্রহণকারী থাকবে। এ পর্যন্ত প্রায় একশোটিরও বেশি স্কুলে উৎসব কমিটির লোক পৌঁছে গিয়েছে। এছাড়া যে আসবে তাঁকেই সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানান অরবিন্দবাবু। তিনি বলেন, “পুলিশের পাশাপাশি আমাদের চারশো স্বেচ্ছাসেবক মাঠে হাজির থাকবে। তাঁদের উপর দায়িত্ব থাকবে বাচ্চাদের দেখভালের। এ জন্য কলেজ ও স্কুলের উঁচু ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের ডাকা হয়েছে।” প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকদেরও বেশ কিছু দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনেই শিলিগুড়ি এলাকার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূলের শিক্ষা সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত জয়ন্ত কর।
|